রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে গত কয়েক মাস আগেও দাপট দেখিয়েছিল তুরস্কের তৈরি বায়ারাকতার ড্রোন। তবে রাশিয়া এখন প্রচুর পরিমাণে শাহেদ-১৩৬ ড্রোন ব্যবহার করতে শুরু করেছে। ইউক্রেন যুদ্ধে ইরানের যেসব অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করছে রাশিয়া। সেসব পশ্চিমা প্রযুক্তি চুরি করে বানিয়েছে ইরান। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান কনফ্লিক্ট আরমামেন্ট রিসার্চ (সিএআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
এ প্রযুক্তিটি ২০ বছর আগে জার্মানির কাছ থেকে চুরি করেছে বলে ওই গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির দাবি। ইরান পশ্চিমা প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে একটি শক্তিশালী অস্ত্র শিল্প গড়ে তুলেছে বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
মনুষ্যবিহীন আকাশযান (ইউএভি)-কে ইরানি শাহেদ-১৩৬ অস্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মঘাতী অভিযান চালানো জাপানি যোদ্ধা পাইলটদের নামানুসারে এগুলোকে কামিকাজে ড্রোনও বলা হয়।
কামিকাজে জাপানি শব্দ। যার অর্থ হলো আত্মঘাতী। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় জাপানিরা একটি কৌশল ব্যবহার করতো। সেটি হলো শত্রুর লক্ষ্যবস্তুতে বিমানসহ আত্মঘাতী হামলা। এই অস্ত্রগুলো একটি অঞ্চলের ওপর ঘোরাফেরা করতে পারে হামলার স্থান শনাক্ত করার আগে এবং লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনে ধ্বংস হয়ে যায়।
ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের মতো, শত শত কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে। ‘কামিকাজে’ ড্রোন সস্তা এবং সুনির্দিষ্ট বিকল্প অস্ত্র।
সূত্র : সিএনএন।