রাউফুর রহমান পরাগ : প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে অনেকেই শহর ছেড়ে গ্রামে যেতে শুরু করেছেন। দুদিন আগে থেকেই ঈদ যাত্রা শুরু হলেও তার প্রভাব এখনও পড়েনি সাভার ও আশুলিয়ার সড়কগুলোতে।
পর্যাপ্ত যাত্রীর অভাবে ফাঁকা বাস নিয়ে বসে আছেন পরিবহন শ্রমিকরা। তবে আজ থেকে শিল্পাঞ্চলের পোশাক কারখানাগুলোতে ছুটি শুরু হলে বিকেলের পর থেকে সড়কগুলোতে চাপ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকে সাভার ও আশুলিয়ার সড়কগুলোতে ঈদ যাত্রার বাড়তি চাপ দেখা যায়নি। বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রীদের অপেক্ষায় রয়েছে দূরপাল্লার পরিবহনগুলো।
সাভার, নবীনগর, বাইপাইল শ্রীপুর বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা যায়, দূরপাল্লার অনেক বাস রয়েছে। কিন্তু যাত্রী খুব কম। তাই দূরপাল্লার বাসগুলো যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছে। বিশেষ করে আশুলিয়ার বাইপাইল ও বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়কের পাশে দেখা যায় সাড়িবদ্ধ হয়ে দাড়িয়ে আছে উত্তরবঙ্গগামী পরিবহনগুলো।
পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলেন, আজ বিকেলের পর থেকে এই অঞ্চলে যাত্রীদের চাপ বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এবার ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক থাকলেও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজের কারণে সড়ক সংকীর্ণ হওয়ায় কিছুটা ভোগান্তির আশঙ্কা রয়েছে।
বাইপাইলে যাত্রীর অপেক্ষায় বসে থাকা এক পরিবহনের চালক বলেন, তিনদিন ধরে বসে আছি, যাত্রীর কোনো আশঙ্কা দেখছি না। আশা করি, আজ বিকেল থেকে যাত্রীর চাপ বাড়বে। লম্বা ছুটি পাওয়ায় যাত্রীরা ভেঙে ভেঙে যাচ্ছে। আজকে যদি যাত্রীর চাপ না বাড়ে তাহলে আমরা মাঠে মারা যাবো।
পরিবহন মালিক ও শিল্পকারখানা সূত্র জানা গেছে, অল্প কিছু কারখানায় ছুটি হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে পর্যায়ক্রমে শিল্পকারখানাগুলোয় ছুটি হওয়া শুরু হয়েছে। এরপর কিছু কারখানা বৃহস্পতিবার, শুক্রবার এবং অন্যান্য কারখানা ছুটি হবে শনিবার। মূলত বৃহস্পতিবার থেকেই দুই মহাসড়কে যাত্রীদের চাপ কয়েক গুণ বাড়বে। তখন হাজার হাজার ঘরমুখী মানুষ মহাসড়কে নেমে আসবে। ফলে সড়কে যাত্রীর চাপের পাশাপাশি যানবাহনের সংকট ও যানজটের শঙ্কা করছেন পরিবহনসংশ্লিষ্টরা।
এদিকে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে সড়কের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে কাজ করছে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য।