পথ দেখাচ্ছে গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজ

0

ভারত পিঁয়াজ রফতানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে পণ্যটির দাম আকাশ ছোঁয়। মাত্র একদিনের ব্যবধানে চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রতি কেজি পিঁয়াজের দাম ৯০ থেকে ১০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। এমন অবস্থায় গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজ মানুষের মাঝে কিছুটা স্বস্তি এনে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। 

কৃষি বিভাগ বলছে, গ্রীষ্মকালীন ও মুড়িকাটা পিঁয়াজ চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে কমে আসবে আমদানি নির্ভরতা। জানা গেছে, চলতি মৌসুমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ৫ উপজেলায় ৪ হাজার ৫০০ বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন পিঁয়াজ চাষ হয়েছে। ভারতের এন-৫৩ জাতের পেঁয়াজ চাষ করে চাষিরা প্রতি বিঘায় ফলন পাচ্ছে ১০০ থেকে ১১০মণ।  আর এ পিঁয়াজের স্বাদ ও আকার ভারতের আমদানি করা পিঁয়াজের মতোই। 

তিনি আরও বলেন, কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমরা বর্ষার মধ্যে পিঁয়াজের পুল রোপন করি এবং ৯০ দিনের মধ্যেই পিঁয়াজ বিক্রির উপযোগী হয়ে গেছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই বাজারজাত করা যাচ্ছে এই পিঁয়াজ। আর এই পিঁয়াজ যখন বাজারে আসছে তখন বাজারে দেশি পিঁয়াজ নেই বললেই চলে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, সাধারণত দেশি জাতের পিঁয়াজ বিঘাপ্রতি ফলন হয় ৩০ থেকে ৪০ মণ। কিন্তু গ্রীষ্মকালীন এন-৫৩ জাতের পিঁয়াজ উৎপাদন হয় বিঘায় ১০০ থেকে ১২০ মণ। আর অসময়ে পিঁয়াজ বাজারে বিক্রি করার কারণে চাষিরাও অধিক দাম পান। তিনি আরও বলেন,  জেলায় অনেক আম বাগাান গড়ে উঠেছে, যেখানে আলো-বাতাস পর্যাপ্ত থাকে। এ সব বাগানেও পিঁয়াজ চাষ করা সম্ভব। তাই এই পিঁয়াজ চাষ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে প্রণোদনার মাধ্যমে। এদিকে আমরা এই পিঁয়াজ চাষে সক্ষম হলে বিদেশ থেকে পিঁয়াজ আনার কোন প্রয়োজন পড়বে না বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা। 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here