ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল। জলোচ্ছ্বাসের কারণে নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে বেড়িবাঁধ উপচে পানিতে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। রেমাল আঘাত হানার আশংকায় আতংকিত হয়েছে পড়েছে উপকূলের লাখো মানুষ।
এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে সাগরের পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় জেলার নদ-নদীর পানি ৭-৮ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলার রাঙ্গাবালী, কলাপাড়া ও মির্জাগঞ্জে বেশ কিছু স্থানে বেড়িবাঁধ উপচে গ্রামের মধ্যে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দক্ষিন চরমোন্তাজ, আন্ডারচর ও চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকে পড়েছে। এতে অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। মির্জাগঞ্জের মেহেন্দিয়াবাদ ও সুন্দ্রা পয়েন্টে বেড়িবাঁধ উপচে পানি ঢুকে ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কলাপাড়ায় বেড়িবাঁধের বাইরে নিশানবাড়ীয়া, কাউয়ার চর এলাকা পানিতে থৈ থৈ করছে।
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. মিরাজ গাজী জানান, গলাচিপার পানপট্টি, মুসুরীকাঠি স্লুইজ, সদর উপজেলার কালিচন্না, দুমকির হাজিরহাট, দশমিনার আউলিয়াপুর এলাকায় বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে সকালে ৪-৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেলেও বর্তমানে পানি কমে গেছে।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল আঘাত হানবে এমন আশংকায় পটুয়াখালী জেলার উপকূলীয় এলাকার মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে। বহু মানুষ ঘড়-বাড়ি ছেড়ে সহায়স্বম্বল ও গবাদিপশু নিয়ে আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদে রয়েছে।