আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে নেতাকর্মীদের কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভৈরব বাজারে বিএনপির কার্যালয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এ সময় ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে ভাঙচুর করে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৪ জন নেতাকর্মীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করা হয়।
আহতরা হলেন- চরকিং ইউনিয়ন কৃষক দলের সদস্য মো. সাহারাজ (৩২) ও একই ইউনিয়ন যুবদল কর্মী মো. রুবেল (৩৫), মো. মনির (৩৮) এবং হাতিয়া উপজেলা সদস্য সংগ্রহ কমিটির সদস্য কবির উদ্দিন মজনু (৪৮)।
চরকিং ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য মোজাক্কের বারী অভিযোগ করে বলেন, গত শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ব্রিজ বাজারের দক্ষিণ মাথায় চায়ের দোকানে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবু তাহেরের নেতৃত্বে আমাকে কুপিয়ে আহত করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। ঘটনার চার দিন পর (১৭ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহেরসহ ১৩ জনকে আসামি করে হাতিয়া থানায় আমি একটি মামলা দায়ের করি। শনিবার সন্ধ্যার দিকে ওই মামলার আসামিদের গ্রেফতার করতে স্থানীয় ভৈরব বাজারে আসেন হাতিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুব উদ্দিন। অভিযানে আমি মামলার এজাহারনামীয় আসামি রিয়াজকে পুলিশকে দেখিয়ে দিই। এ ঘটনার জেরে শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে চরকিং ইউনিয়নের ভৈরব বাজারে ওয়ার্ড বিএনপির কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহেরের নেতৃত্বে তার অনুসারী রহিম মাঝি, দিদার, বিদ্যুৎ, আবুল কালাম বাশার ও জুয়েল হামলা চালায়। এ সময় তারা কৃষক দল নেতা সাহারাজকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ছাড়া আরও ৩ জনকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহেরের মোবাইল ফোনে কল করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানে এলাকায় আধিপত্য নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এ ঘটনায় মামলাও রয়েছে। এটা রাজনৈতিক কিছু না।

