নেত্রকোনায় বেড়েছে কুকুড় বিড়ালের আক্রমণ, আতঙ্কে টিকা নিচ্ছেন অনেকে

0

নেত্রকোনায় বেড়েছে কুকুড় বিড়ালের আক্রমণ। সর্বসাধারণের মাঝে বিরাজ করছে জলাতঙ্ক আতঙ্ক। ফলে প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আক্রান্তরা প্রতিষেধক টিকা নিতে ভিড় করছেন নেত্রকোনা জেলা সদর হাসপাতালে।

আক্রান্ত্রদের মাঝে শিশুর সংখ্যাই বেশি। বিনামূল্যে হাসপাতাল থেকে ভ্যাকসিন দিলেও এই সময়ে কেন এর প্রবণতা সেটি বলতে পারছে না কেউ। 

সাতপাই এলাকার মুরিদা রহমান জানান, একটি শিশু বিড়াল বাসায় আশ্রয় নিলে সেটিকে নিয়মিত খাবার দিতেন। সেই বিড়াল প্রথমে তার স্বামীকে আচড় দিয়ে রক্তাক্ত করে পড়ে আবার তাকে আচড় দেন। এ জন্য তারা দুজনই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে টিকা নেন। এদিকে কলমাকান্দার সিধলী থেকে আসা রহিমা আক্তার তার ৫ বছরের শিশুকে টিকা দিতে নিয়ে আসেন। তিনি জানান বাচ্চাটি উঠোনে খেলছিল। কিন্তু হঠাৎ একটি কুকুড় এসে শিশুটির হাতে কামড় দিয়ে দেয়। 

টিকা প্রদানকারী সিনিয়র স্টাফ নার্স হাজেরা জানান, বুধবার (২৪ জানুয়ারী) পর্যন্ত টিকা নেয়া ২৪১ জনের মধ্যে ১২৯ জনই শিশু। সহকর্মী এলিজা আক্তার জানান, জেলার সদর, আটপাড়া, কলমাকান্দা, দুর্গাপুর, পূর্বধলা, কেন্দুয়াসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে নারী পুরুষ শিশু এসকল প্রতিষেধক নিতে আসছেন। 

হাসপাতালের জলাতঙ্ক বিভাগের ইনচার্জ আফসানা আক্তার জানান, গত অক্টোবর মাসে ৩৮৫ জন, নভেম্বর মাসে ৩২০ জন ও ডিসেম্বর মাসে ৩৩৩ জন জলাতঙ্ক প্রতিষেধক নিয়েছেন। চলতি জানুয়ারী মাসের ২৫ তারিখ পর্যন্ত ২৬২ জন টিকা নিয়েছে। 

তবে এসকল প্রাণীর বিষয়ে কথা বলতে জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে দুদিন ঘুরে এবং খোঁজ করেও জেলা কর্মকর্তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
 
জেলা সদর হাসপাতালের সহকারী সার্জন ডাক্তার মো. হাবিবুর রহমান লাভলু জানান, প্রতিদিন আক্রান্তরা আসছে। এটার প্রবণতা বাড়লেও কারণ বলতে পারছেন না। তবে তিনি বলেন, আগে দেখতাম পৌরসভার কাজ কুকুড় বিড়ালের উৎপাত নিয়ন্ত্রণ। এখন দেখিনা। তবে মানুষ সচেতন তাই টিকা নিতে আসছে। বাড়িতে পালিত হলেও এরা বাইরের গুলোর সাথে মিশে সংক্রমিত হয়ে জলাতঙ্ক ছড়ায়। 

এ ব্যাপারে পৌরসভার প্যানেল মেয়র এস এম মহসীন আলম জানান, গত তিন বছর ধরে কুকুর মারতে সরকারি নিষেধ রয়েছে। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here