ইসরায়েলের অমানবিক আচরণ থেকে অবরুদ্ধ গাজার হাসপাতালগুলোও রক্ষা পাচ্ছে না। হাসপাতালগুলোতে জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে ইসরায়েল। কোনো কোনো হাসপাতালের আশপাশেই ফেলা হচ্ছে বোমা।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, গাজার আল-শিফা হাসপাতালকে জ্বালানি সরবরাহ করার ব্যবস্থা করছে তার প্রশাসন।
এই ইহুদি নেতা আরো বলেছেন, ‘আমাদের রোগী কিংবা বেসামরিক নাগরিকদের সাথে কোনো যুদ্ধ নেই। আমি মনে করি প্রত্যেক বেসামরিক নাগরিক ও শিশুর মৃত্যু একটা শোকগাঁথা (ট্রাজেডি)।’
ইসরায়েলি সেনারাও এ বিষয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। যেখানে তাদের জ্বালানি দিতে দেখা যায়। যদিও স্বাধীনভাবে বিবিসি সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। হাসপাতালের কোনো কর্মকর্তার সাথে কথা বলতে পারেনি বিবিসি।
তবে এর আগে চিকিৎসকদের একটি দল জানিয়েছিল, গাজায় বিদ্যুতের অভাবে নির্দিষ্ট সময়ের আগে জন্মানো শিশুরা মারা যাচ্ছে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ও দাবি করছে, বিদ্যুতের অভাবে অস্ত্রোপচার করতে না পারায় অনেক আহত ফিলিস্তিনি মারা যাচ্ছেন।
নেতানিয়াহু আরো জানিয়েছেন, তার দেশ গাজায় খোলা আকাশের নীচে হাসপাতাল বানাতে চায়। যেখানে হাসপাতালে থাকা রোগীদের সরিয়ে নেওয়া যাবে।