নীলফামারীতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে মাল্টা

0
নীলফামারীতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে মাল্টা

নীলফামারীতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে বিভিন্ন জাতের মাল্টা। পাহাড়ি ফল হিসেবে পরিচিত হলেও সমতল ভূমিতেও রয়েছে এ ফলের ব্যাপক সম্ভাবনা। মাল্টা একটি রফতানিকারক ফল। মাল্টা কৃষি অর্থনীতিকে একটি সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা মাল্টা চাষীর।

মাল্টা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ, সুস্বাদু এবং রসালো ফল। এক সময় নীলফামারীতে মাল্টা চাষ হতো না। তবে কিছু ব্যবসায়ী মাল্টা আমদানি করে নীলফামারীতে বিক্রি করতো। বেলে, দোআঁশ ও উঁচু জমি হচ্ছে মাল্টা চাষের উপযোগী। মাটির গুণাগুণ ঠিক থাকলে সমতল এলাকায়ও মাল্টা চাষ করে লাভবান হতে পারবেন কৃষকেরা।

নীলফামারী সদর উপজেলার পঞ্চপুকুর ইউনিয়নের ঝাড়পাড়া গ্রামে সড়কের পাশে প্রায় তিন একর জমিতে গড়ে উঠেছে মাল্টা বাগান। মাল্টার কারণেই সেই মোড়টির নাম দেয়া হয়েছে মাল্টার মোড়।এই বাগানের নামকরণ করেছেন রাজু অর্গানিক র্গাডেন অ্যান্ড র্নাসারী। এ বাগানে বিভিন্ন জাতের মাল্টায় ভরপুর।

পাকা মাল্টা বাগানের সৌর্ন্দয অনেকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। মাল্টার বিভিন্ন জাত দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে চান উদ্যোক্তা মনিরুজ্জামান (রাজু)। তার বাগান থেকে মাল্টা নীলফামারীসহ বাইরের জেলায়ও যাচ্ছে।

রাজু পড়ালেখা শেষ করে চাকরির চেষ্টা করেন। কিন্তু চাকরি না পেয়ে উদ্যোক্তা হয়ে উঠেন। বাগান তৈরি করার মন-মানসিকতায় গড়ে তোলেন নিজেকে। উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত জমিতে প্রায় ৫ লাখ টাকা দিয়ে ২০১৮ সালে বিভিন্ন স্থান থেকে ফলের চারা সংগ্রহ করে গড়ে তোলেন ফলের বাগান। রাজুর বাগানে সিকি মোসাম্বি, বারী-১, বারী-২, ইএলও-২, মরক্কো, সাউথ অফ্রিকান মাল্টা চাষ হচ্ছে। 

বাগানটিতে প্রায় ১১ জাতের মাল্টা রয়েছে। বাগানেই প্রতি কেজি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে। বেশির ভাগ মাল্টা বাইরে পাঠানো হচ্ছে কুরিয়ারে।  

এ ব্যাপারে রাজু অর্গানিক র্গাডেন অ্যান্ড র্নাসারীর উদ্যোক্তা মনিরুজ্জামান রাজু বলনে, চাকরি না পেয়ে বাগান করি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে মাল্টার বাগান শুরু করি। ২০১৯ সালে কিছু কিছু গাছে ফল আসে। ২০২০ সালে খুব ভালো ফল হয়। বাজারে এর চাহিদা অনেক বেশি। 

মাল্টার বাগান দেখতে আসা জাভেদ আলী বলেন, বাগানটি অনেক সুন্দর। এখান থেকে আমরা কিছু মাল্টা কিনে নিয়ে যাবো।

নীলফামারী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদ বলেন, কৃষিকে উদ্যোক্তা হিসেবে নিয়ে যে সফল হওয়া যায় তার উদাহারণ হল রাজু। তিনি বিভিন্ন জাতের মাল্টা নিয়ে কাজ করছেন। এবং তিনি এখন একজন সফল উদ্যোক্তা। তাকে দেখে অনেকে উৎসাহিত হয়ে তার কাজ থেকে চারা নিচ্ছেন। দীর্ঘদিন সঠিক রস, রং, স্বাদ যেন বজায় থাকে সে ক্ষেত্রে আমরা তাকে পরামর্শ দিচ্ছি। বাগানটি পরিদর্শন করেছি। সুস্বাদু, মিষ্টি ও রসালো মাল্টা এই বাগান থেকে মাত্র ১৫০ টাকা কেজিতে মিলছে। বাগানের জমিতে ভার্মি কম্পোস্ট, জৈব সার, হাড়ের গুড়া ব্যবহার করে আশাতীত ফলন মিলছে। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here