থমকে যাওয়া টেস্ট ক্যারিয়ারে নতুন গতি দেওয়ার সুযোগ পেলেন মাইকেল নিসার। নিউজিল্যান্ড সফরের অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দলে জায়গা পেলেন ৩৩ বছর বয়সী এই পেসার। তাকে অবশ্য এখন শুধু পেসার না বলে পেস বোলিং অলরাউন্ডার বলাই ভালো। ব্যাট হাতে যে এখন ধারাবাহিকভাবেই পারফর্ম করছেন তিনি!
চলতি শেফিল্ড শিল্ডেই যেমন বল হাতে তিনি একদমই নিষ্প্রভ। ৬ ম্যাচে ৯ উইকেট নিয়েছেন পঞ্চাশের বেশি গড়ে। তবে ব্যাটিংয়ে ১ সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটিতে ৩৫৪ রান করেছেন ৩৯.৩৩ গড়ে। গত মৌসুমে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপেও তার ব্যাটে ছিল রানের ধারা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সাড়ে তিন হাজারের বেশি রান হয়ে গেছে তার ৫ সেঞ্চুরি ও ১৭ ফিফটিতে।
যদিও খেলার সুযোগ পেতে নিসারকে অপেক্ষা করতে হবে অন্যদের চোটাঘাত বা বিশ্রামের ওপর। অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের সঙ্গে অন্য দুই মূল পেসার মিচেল স্টার্ক ও জশ হেইজেলউড তো আছেনই। বাড়তি পেসার হিসেবে নিসার ছাড়াও আছেন স্কট বোল্যান্ড।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এখনও পর্যন্ত দুটি টেস্ট খেলতে পেরেছেন নিসার। ২০২১ ও ২০২২ সালে দুটি টেস্টেই তিনি খেলতে পেরেছিলেন কোভিড প্রটোকলের কারণে কামিন্স খেলতে না পারায়। ২ টেস্টে উইকেট নিয়েছিলেন ৭টি। ২০১৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত অবশ্য টেস্ট স্কোয়াডে নিয়মিত মুখই ছিলেন তিনি। তবে গত বছর কাউন্টিতে গ্ল্যামরগনের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করার পরও অ্যাশেজ স্কোয়াডে জায়গা পাননি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে চোট পাওয়া ল্যান্স মরিস ছিটকে গেছেন টেস্ট স্কোয়াড থেকে। তবে জর্জ বেইলি জানিয়েছেন, নিউ জিল্যান্ডের কন্ডিশনে গতিময় এই পেসারকে এমনিতেই বাইরে রাখা হতো।
দুই ম্যাচের সিরিজের জন্য ১৪ জনের দল ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। বাড়তি ব্যাটসম্যান হিসেবে টিকে গেছেন ম্যাট রেনশ। অ্যালেক্স কেয়ারি ছাড়া বাড়তি কোনো কিপার ও ন্যাথান লায়ন ছাড়া বাড়তি স্পিনার নেই। যেহেতু দূরত্ব বেশি নয়, জরুরি প্রয়োজনে যে কাউকে দ্রুত উড়িয়ে আনা যাবে বলেই তাদের এমন সিদ্ধান্ত। ম্যাচের আগে শেষ মুহূর্তে কেয়ারি বা লায়নের কেউ চোটে পড়লে অবশ্য বিপাকে পড়তে হবে দলকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে বদলে যাওয়া ব্যাটিং লাইন আপ থাকছে নিউ জিল্যান্ড সফরেও। স্টিভেন স্মিথ থাকবেন ওপেনিংয়েই। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে ৩ ইনিংসে মাত্র ৬৪ রান করা ক্যামেরন গ্রিনের ওপর আস্থা রাখা হচ্ছে চার নম্বরে।
আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ সিরিজটির প্রথম ম্যাচ ওয়েলিংটনে ২৯ ফেব্রুয়ারি থেকে, পরেরটি ক্রাইস্টচার্চে ৮ মার্চ থেকে।
অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দল: প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), স্কট বোল্যান্ড, অ্যালেক্স কেয়ারি, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হেইজেলউড, ট্রাভিস হেড, উসমান খাওয়াজা, মার্নাস লাবুশেন, ন্যাথান লায়ন, মিচেল মার্শ, মাইকেল নিসার, ম্যাট রেনশ, স্টিভেন স্মিথ, মিচেল স্টার্ক।