ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনের বিদ্রোহের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দায়ের করা ফৌজদারি মামলা সচল রয়েছে। এই মামলার তদন্ত চলছে।
সোমবার রাশিয়ার প্রধান সারির একাধিক সংবাদ সংস্থা অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াগনার প্রধানের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তের খবর দিয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী সামরিক প্রধানদের সাথে প্রকাশ্য দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে তার বাহিনীকে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর কমান্ড কাঠামোর আওতায় আনতে চাওয়ায় তার এই দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য বিদ্রোহে রূপ নেয়।
শনিবার ওয়াগনারের যোদ্ধারা অধিকৃত পূর্ব-ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রোস্তভ-অন-দনে ঢুকে পড়েন। তারপর মস্কোর পথে ভরোনেজ হয়ে মূল সড়কপথ ধরে অগ্রসর হতে থাকেন।
দীর্ঘ উত্তেজনার পর বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর মধ্যস্থতায় ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন বেলারুশে চলে যাবেন বলে জানায় ক্রেমলিন। কিন্তু চুক্তিতে পৌঁছানোর পর থেকে ওয়াগনারের এই কমান্ডারের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
রাশিয়ার তিনটি প্রধান সংবাদ সংস্থা— তাস, আরআইএ এবং ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চালু করা হয়েছে এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের বরাত দিয়ে তাস বলেছে, প্রিগোজিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা ফৌজদারি মামলাটি স্থগিত করা হয়নি। তদন্ত চলমান রয়েছে। রাশিয়ার আইনে এই ধরনের অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তির ১২-২০ বছরের সাজা হতে পারে।