আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মার্কিন প্রতিনিধি দল মধ্যস্থতা করতে আসেনি। তারা সমাধান করতে আসেনি। তারা আমাদের মনোভাব জানতে চেয়েছে।’
সোমবার দুপুরে রাজধানীর বনানীর শেরাটন হোটেলে ঢাকায় সফররত আমেরিকার প্রাক-নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বৈঠকে কথা প্রসঙ্গে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রসঙ্গ এসেছে। তারা (আমেরিকার প্রতিনিধি দল) বলেছে কমপ্রোমাইজ ও এডজাস্টমেন্টের কথা। আমরা বলেছি, বিএনপি সেই স্পেস রাখেনি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘প্রতিনিধি দলকে বলা হয়েছে, আপাতত কমপ্রোমাইজের কোনো সুযোগ দেখছি না। সংবিধান ভায়োলেট করে কমপ্রোমাইজ করা যায় না।’
প্রতিনিধি দলের কাছে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থানও ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘শুধু বাংলাদেশ নয়, বিভিন্ন দেশের গণতন্ত্রের চ্যালেঞ্জ নিয়েও কথা হয়েছে বৈঠকে।’
গত ১৫ বছরে নির্বাচন কমিশনকে শক্ত করতে ১৫টি সংস্কার করা হয়েছে বলেও আমেরিকার প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। তারা জানিয়েছেন, অবাধ নির্বাচনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ অঙ্গীকারবদ্ধ।
সভা-সমাবেশের বিষয়ে বিএনপি আইনের ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছে। সেসব বিষয়ে প্রতিনিধি দলকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘দেশে চলমান গুজব ও অভিযোগের জবাব তাদের দিয়েছি।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তাদের আলোচনায় মনে হয়নি তারা কোনো পক্ষপাত করছে। তারা সকল দলের সঙ্গে আলোচনা করছে। তারা পরিস্থিতি অবলোকন করছে।’
বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ওবায়দুল কাদের। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত মুহাম্মদ ফারুক খান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
এদিকে, সোমবার সকালে সফররত মার্কিন প্রাক-নির্বাচন পর্যবেক্ষক দলের সঙ্গে বৈঠক করেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ওয়েস্টিন হোটেলে ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন দূতাবাসের বিভিন্ন কর্মকর্তারা।