লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ চাচ্ছে-যে কোনোভাবে একটি নির্বাচন করার জন্য। কিন্তু আমরা চাই এ নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহণ থাকবে। অবাধ ও সুষ্ঠু হবে এবং নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই হতে হবে।
তিনি বলেন, ৯৬’ সালে আওয়ামী লীগও একই দাবিতে আন্দোলন করেছে। এটা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। আমরা চাই প্রত্যেকে তাদের নিজের ভোট দিয়ে প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। সেই প্রতিনিধিরাই এদেশ পরিচালনা করবে। তাহলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে মুক্তি পাবে। মানুষ ন্যায় বিচার পাবে, একব্যক্তির শাসন থেকে আমরা মুক্তি পাবো।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
এলডিপি প্রেসিডেন্ট অলি আহমদ বলেন, আমরা যুগপৎ আন্দোলন করে যাচ্ছি এই আন্দোলন ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নয়, এই আন্দোলন মন্ত্রী হওয়ার জন্য নয়। এই আন্দোলন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে মুক্ত করার আন্দোলন।
তিনি বলেন, দ্রব্যমূল্যের যে ঊর্ধ্বগতি তাতে সাধারণ মানুষ অতীষ্ঠ। মানুষ ন্যায়বিচার পাচ্ছে না। ঘরে বাইরে কোথাও তারা শান্তিতে থাকতে পারছে না। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের কর্মকাণ্ড স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করতে পারছে না। সাংবাদিকরাও লিখতে পারে না। কারণ আইন করে তাদের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য দেশকে স্বাধীন করা হয়নি। এজন্য আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি। মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল প্রত্যেকটি মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করবে এবং তারা ভোট দিয়ে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবে। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দেশ পরিচালনা করবে।