জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেছেন, বাংলাদেশের সংবিধান মোতাবেক জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোন কর্তৃত্ব, তত্ত্বাবধান বা ক্ষমতা নির্বাচনকালীন সরকারের হাতে নেই।
তিনি আরও বলেন, আইন অনুযায়ী নির্বাচনে প্রভাবিত করার কোন সুযোগ সরকারের নাই। সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ এবং এর অধীন দফা, উপদফা অনুযায়ী গঠিত নির্বাচন কমিশনকে একই অনুচ্ছেদের ৪ দফা মোতাবেক পরিপূর্ণ স্বাধীনতা প্রদান করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কেবলমাত্র সংবিধান ও আইনের অধীন। কোন কর্তৃপক্ষের নিকট নির্বাচন কমিশনের কোন দায়বদ্ধতা নেই।
হুইপ স্বপন বলেন, সংবিধানের ১২০ এবং ১২৬ অনুচ্ছেদ নির্বাচন কমিশনের স্বাধীনতা, কর্তৃত্ব ও ক্ষমতা পূর্ণ সংহত করেছে। সংবিধানের ১১৯, ১২১, ১২২ ও ১২৫ অনুচ্ছেদ এবং এর দফা, উপদফা সমুহ জাতীয় নির্বাচনের পরিপূর্ণ সার্বভৌম ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের পর ন্যাস্ত রয়েছে। এছাড়াও সংশোধিত রিপ্রেজেন্টেশন অব পিপল অর্ডার, নির্বাচন পরিচালনা বিধিমালা, রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা নির্বাচন কমিশনের সকল ক্ষমতা নিরঙ্কুশ করেছে। নির্বাচন কমিশনই কেবল পারে অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করতে। নির্বাহী বিভাগ সংবিধান ও আইন মোতাবেক নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করতে বাধ্য। নির্বাচনে সরকারের কোন কর্তৃত্ব বিদ্যমান নহে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিএনপির দাবি কেবলমাত্র রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। ইহা অন্তঃসারশূন্য দাবি। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা ব্যাহত করার পথ রচনার ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্রের নিকট জাতি মাথা নত করতে পারে না।
লবিং-এর মাধ্যমে বিবৃতিদাতা বিদেশিদের অপর দেশে নাক গলানোর সামন্ততান্ত্রিক ও ঔপনিবেশিক মানসিকতা পরিহার করে যে কোন ধরনের মন্তব্য করার পূর্বে বাংলাদেশের সংবিধান এবং নির্বাচন সংক্রান্ত সকল আইন ও বিধি মনোযোগ সহকারে পাঠ করার আহ্বান জানিয়েছেন হুইপ স্বপন।
ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাবীব হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতা শাহেদ সিদ্দিকী প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল উত্তরার আমির কমপ্লেক্স থেকে শুরু হয়ে হাউজ বিল্ডিং হয়ে জসিম উদ্দিন ক্রসিং প্রদক্ষিণ করে আমির কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
সভাপতির ভাষণে আলহাজ্ব হাবীব হাসান এমপি ঢাকার রাজপথ দখলে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, যেকোন অপশক্তির ষড়যন্ত্র দেশবাসী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রুখে দাঁড়াবে।