নার্কো-টেররিস্ট’ নৌযানে হামলা, সেই অ্যাডমিরালের সিদ্ধান্তে পেন্টাগনের সমর্থন

0
নার্কো-টেররিস্ট’ নৌযানে হামলা, সেই অ্যাডমিরালের সিদ্ধান্তে পেন্টাগনের সমর্থন

ক্যারিবীয় সাগরে সন্দেহভাজন ‘নার্কো-টেররিস্ট’ নৌযানে হামলার সিদ্ধান্ত নেওয়া মার্কিন নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল মিচ ব্র্যাডলির পাশে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। ২ সেপ্টেম্বর অভিযানে ওই নৌযানটি ধ্বংস করা হয়।

পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি কিংসলে উইলসন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, অ্যাডমিরাল ব্র্যাডলি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সম্ভাব্য হুমকি ঠেকাতে নৌযানটিতে হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। হোয়াইট হাউসও এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্ট এক প্রতিবেদনে দাবি করে, প্রথম হামলায় সবাই নিহত না হওয়ায় প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ নাকি দ্বিতীয়বার হামলার নির্দেশ দেন। তবে হোয়াইট হাউস জানায়, হেগসেথ কেবল ব্র্যাডলিকে অনুমোদন করেছিলেন; সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়ন করেন ব্র্যাডলি নিজেই।

পেন্টাগন জানায়, পশ্চিম গোলার্ধে সন্দেহভাজন মাদকবাহী নৌযানের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত ২১টি হামলা চালানো হয়েছে। এসব অভিযানে মোট ৮২ জন ‘নার্কো-টেররিস্ট’ নিহত হয়েছে। উইলসনের দাবি, প্রতিটি হামলাই যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার জন্য এবং আইনগত অনুমোদন নিয়েই করা হয়েছে। সামরিক ও বেসামরিক উভয় পর্যায়ের আইন বিশেষজ্ঞরা এসব আঘাতকে বৈধ বলেছেন।

ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনকে তিনি ‘ভুয়া’ বলে উল্লেখ করেন এবং জানান, নিউইয়র্ক টাইমস ইতোমধ্যে ওই প্রতিবেদনের ভুল তথ্য খণ্ডন করেছে।

এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ বলেন, নার্কো-টেররিস্টদের দমনে অভিযান শুধু শুরু হয়েছে। তার ভাষায়, যারা আমেরিকানদের ‘বিষ’ দিচ্ছে—অর্থাৎ মাদক পাচার করছে, তাদের সমুদ্রে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে হামলা কিছুটা কমেছে, কারণ টার্গেটযোগ্য নৌযান পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।

পেন্টাগন জানিয়েছে, সব হামলাই প্রেসিডেন্টের নির্দেশে পরিচালিত হচ্ছে এবং চেইন অব কমান্ড (সেনাবাহিনীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ধারাবাহিক কাঠামো) ঠিকভাবে কাজ করছে। মাঠের কমান্ডাররা পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত দেন, কিন্তু সামগ্রিক রাজনৈতিক ও সামরিক নির্দেশনা আসে প্রেসিডেন্ট ও প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দিক থেকেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here