রংপুর সদর উপজেলার সদ্যপুস্করিনী ইউনিয়নে একটি কাবিটা প্রকল্পকে কেন্দ্র করে সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে এক পুরুষ ইউপি সদস্যকে থাপ্পর ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (বিকেল) ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনাকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও অভিযুক্ত নারী ইউপি সদস্য দাবি করেছেন, বিষয়টি পরে মীমাংসা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পালিচড়া বালুপাড়া মতিয়ারের বাড়ির সামনে থেকে বাবুর বাড়ি হয়ে আবাসন পর্যন্ত রাস্তার সলিংকরণ কাজ বাস্তবায়নের জন্য কাবিটা প্রকল্পের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলমগীর হোসেন। প্রকল্প সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ৫ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা আসনের ইউপি সদস্য মাহবুবা বেগম তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ ওঠে।
ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য মো. আলমগীর হোসেন এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আমি শুধু কেন এই প্রকল্পের সভাপতি হয়েছি—এটাই আমার দোষ। এজন্য আমাকে মারধর করা হয়েছে। তার সঙ্গে আমার কোনো ব্যক্তিগত লেনদেন নেই। আমি ইউএনও বরাবর অভিযোগ করেছি এবং সুষ্ঠু বিচার চাই।’
অন্যদিকে অভিযুক্ত সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য মাহবুবা বেগম বলেন, আলমগীরের সঙ্গে টাকা-পাওনা নিয়ে ঝামেলা ছিল। বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি উল্টাপাল্টা কথা বলেন। তখন মেজাজ ঠিক রাখতে না পেরে থাপ্পর দিয়েছিলাম। পরে বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে।’
এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক এস এম আইনুল হক বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, ব্যক্তিগত লেনদেন থেকেই এ বিবাদের সৃষ্টি হয়েছে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে এ ধরনের মারধরের ঘটনা অসদাচরণ এবং ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া কিছু নয়।’

