দেশের প্রথম নারী প্রশিক্ষক বৈমানিক ফারিয়া লারাকে নিয়ে সিনেমা বানাতে যাচ্ছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি। ছবিটির জন্য গত জুনে ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেয়েছেন তিনি। ‘লারা’ নামের সেই ছবি নির্মাণ করবেন শেখর দাশ।
সরকারি অনুদানের ছবি হলেও এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৩ কোটি টাকা। এমনটাই জানালেন জ্যোতিকা জ্যোতি। তিনি বলেন, ২০২০ সাল থেকেই ছবিটি নির্মাণের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। একটি বড় আয়োজনের ছবি হবে এটি। ছবির জন্য ৬০ লাখ টাকার অনুদান পেয়েছি। তবে এর নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে আনুমানিক তিন কোটি টাকা।’
এই অভিনেত্রীর কথায়, বাঙালি নারীও যে দুঃসাহসী হতে পারে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত ফারিয়া ‘লারা’। ছবির চিত্রনাট্য লেখা হচ্ছে। ছবিতে লারার মা সেলিনা হোসেনের চরিত্রটিও গুরুত্বপূর্ণ। দু’টি চরিত্রেই মানানসই অভিনেত্রী নেওয়া হবে। আমি নিজেও করতে পারি যেকোনো একটি চরিত্র। নিজের ছবি বলে নয়, ভালো চরিত্রের খোঁজে কে না থাকেন। এ বছরই শুটিং শুরুর ইচ্ছা আছে।
জ্যোতি জানান, এই বৈমানিকের মা প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও বাবা মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন। মেয়েকে নিয়ে ২০০৬ সালে ‘লারা’ নামের একটি উপন্যাস লিখেছেন সেলিনা হোসেন। সিনেমা বানানোর জন্য এরই মধ্যে সেলিনা হোসেনের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিয়েছেন জ্যোতিকা জ্যোতি।
উল্লেখ্য, মাত্র ২৮ বছর পৃথিবীতে ছিলেন বৈমানিক ফারিয়া লারা। ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ সালে লারা সিভিল এভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ থেকে প্রাইভেট পাইলটের লাইসেন্স অর্জন করেন। ১৯৯৮ সালের ১৯ মার্চ লারা বাণিজ্যিক পাইলট লাইসেন্স লাভ করেন। এরপরই তিনি পাইলটদের প্রশিক্ষক হওয়ার প্রশিক্ষণ নেন।
১৯৯৮ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর উড্ডয়নের সময় অকালে নিহত হন বৈমানিক ফারিয়া লারা। আগুন লেগে এয়ার পারাবতের বিমানটি ঢাকার পোস্তগোলায় বিধ্বস্ত হলে লারাসহ দু’জন নিহত হন। ১৫ মিনিট আগে ইমার্জেন্সি কল দিয়ে কন্ট্রোলকে জানান ‘আমি আর কয়েক মিনিট বেঁচে আছি এই পৃথিবীতে’।