নাটোরের গুরুদাসপুরে পরীক্ষামূলকভাবে ১০ কাঠা জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফলতা পেয়েছেন স্থানীয় কৃষক মো. আব্দুল আলিম। জমি থেকে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকার ফুলকপি উৎপাদন করেছেন তিনি। কৃষকের এমন সফলতা দেখে অনেকে রঙিন ফুলকপি চাষে উৎসাহী হচ্ছেন অন্যান্য কৃষকরাও।
কৃষক জানান, ১০ কাঠা জমিতে রঙিন ফুলকপি চাষে খরচ হয়েছে ৬ হাজার টাকা। জমিতে চারা রোপণের দুই মাস পর ফসল উত্তোলন করে বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়। এ জমিতে ফুলকপি চাষে খরচ বাদে প্রায় ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা আয় করেছেন তিনি। হলুদ ও বেগুনি রংয়ের ফুলকপি বাজারে বেশ চাহিদা রয়েছে। সাদা ফুলকপির চেয়ে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। অনেকে জমি থেকে ফুলকপি কিনতে আসছেন।
তিনি আরও বলেন, চারাসহ এ ফুলকপি চাষে মোট ৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রথম দিকে প্রতি কেজি রঙিন ফুলকপি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে ৬০ টাকা কেজি এই ফুলকপি বিক্রি করছি। বাজারে এই ফুল কপির চাহিদাও অনেক বেশি। সাদা কপির চেয়ে এই কপির দামও বেশি। এ রঙিন ফুলকপি চাষে অনেকে পরামর্শের জন্য আসছেন।
স্থানীয় সবজি বিক্রেতা রাজিব হোসেন বলেন, সাদা ফুলকপি ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রঙিন ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। অনেক ক্রেতা উৎসাহিত হয়ে রঙিন ফুলকপি কিনছেন। অন্য কপির চেয়ে এ কপি বেশি বিক্রি হচ্ছে বলে জানান।
নাটোর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, নাটোর জেলা প্রথম রঙিন ফুলকপি চাষ করে সফলতা পেয়েছে কৃষক আলিম। তিনি কৃষি বিভাগের পরামর্শে কেবলমাত্র জৈব সার ব্যবহার করে ভালো ফলন পেয়েছেন। এ রঙিন ফুলকপির দাম তুলনামূলক ভাবে বেশি। এতে করে কৃষকরা লাভবান হবেন। অনেক কৃষক রঙিন ফুলকপি চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আগামীতে জেলায় এ রঙিন ফুলকপি চাষ অনেক অংশে বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।