নাইজেরিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। দেশটির রাজধানী আবুজায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে হাইকমিশনার মিয়া মো. মাইনুল কবির স্থানীয় সময় ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ই-পাসপোর্ট ও স্বয়ংক্রিয় বর্ডার নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কর্নেল মুশফিকুর রহমান মাসুম, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জনাব মো. শফিকুল ইসলাম এবং ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের উপপরিচালক জনাব মো. ইসমাইল হোসেন।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কর্নেল মুশফিকুর রহমান মাসুম ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের ওপর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদান করেন। তিনি ই-পাসপোর্টের প্রযুক্তি ও এর সঠিক ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনার মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ২০২৪-এর জুলাই ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
তিনি বলেন, ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম চালুর মাধ্যমে নাইজেরিয়া ও পার্শ্ববর্তী চারটি দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সহজতর হবে এবং আমাদের নাগরিকদের মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে। ই-পাসপোর্ট প্রক্রিয়ায় সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহৃত হওয়ায় এর বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে ও বিশ্বের অনেক দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি স্বাক্ষরে আগ্রহী হবে, যা বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মান ও মর্যাদা আরও বৃদ্ধি করবে।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার জানান, নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন বহির্বিশ্বে বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট সেবা চালু করার দিক থেকে ৬৯তম বাংলাদেশ মিশন হিসেবে এবং আজকের এই উদ্বোধনের মাধ্যমে ১৫৭টি দেশ থেকে ই-পাসপোর্ট সেবা নিতে পারবেন। এজন্য পাসপোর্ট অধিদফতর ও ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।
বাংলাদেশ হাইকমিশনার লাইবেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা, কঙ্গো, গাম্বিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশিদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও কর্মের মাধ্যমে দেশের সুনাম ও সম্মান বৃদ্ধির জন্য আহ্বান জানান। ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে ই-পাসপোর্ট সেবা চালুকরণের অংশ হিসেবে প্রধান অতিথি কয়েকজন আবেদনকারীর কাছে ডেলিভারি স্লিপ তুলে দেন।
পরে ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পক্ষ থেকে প্রকল্পের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালক কর্নেল মুশফিকুর রহমান মাসুম বাংলাদেশ হাইকমিশনকে একটি ক্রেস্ট প্রদান করেন। পরে রাষ্ট্রদূত ই-পাসপোর্ট সেবা কার্যক্রম ও অ্যানরোলমেন্ট প্রক্রিয়া পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, এখন থেকে উল্লিখিত চারটি দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা ৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

