নরসিংদীতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে নিবার্চন অনুষ্ঠিত, আহত ১২ জন

0

নরসিংদীতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষসহ বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার নরসিংদী সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের দুইটি পৃথক কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১২ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত দুই জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আর পলাশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট চলাকালীন সময়ে কাপপিরিচ প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ জাবেদ হোসেনের এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায়, বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়নের পাঁচদোনা স্যার কেজি গুপ্ত স্কুল এন্ড কলেজের কেন্দ্রে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল বাকিরের সমর্থক মেহেরপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজহার অমিত আজাহার প্রান্ত কেন্দ্রে প্রবেশে করে। এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী কাপপিরিচের প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে তাদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় আনারস প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর ও দুইটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। এতে দুইজন আহত হন। পরে পুলিশ ও ডিবি ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় অবিস্ফোরিত ককটেল ও দা উদ্ধার করা হয়।

কাকশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার কাউছার আহমেদ জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষের উত্তেজনার ফলে ৪০ মিনিট বন্ধ থাকে ভোট গ্রহণ। পরবর্তীতে পুনরায় চালু হয় কেন্দ্রটি। 

এছাড়া সদর উপজেলা মূলপড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে র‌্যাব সদস্যরা তাদের কেন্দ্র থেকে সরিয়ে দেয়। 

অন্যদিকে পলাশ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট চলাকালীন সময়ে কাপপিরিচ প্রতীকের প্রার্থী সৈয়দ জাবেদ হোসেন এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী দোয়াত কলমের প্রার্থী শরিফুল হকের বিরুদ্ধে। ডাঙ্গার কেন্দাব, তালতলী, পলাশ কো-অপারেটিভ স্কুলে কাপপিরিচের এজেন্টেদের বের করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ তাদের কেন্দ্রে প্রবেশ করায়। এছাড়া সকালে কয়েকটি কেন্দ্রে ককটেল ফুটিয়ে আতঙ্ক তৈরি করা হয়। 

নরসিংদীর পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নরসিংদীতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। একটি কেন্দ্রের বাইরে কিছুটা উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশ তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি ভালো ছিল। কোথাও কোনো বড় সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here