নতুন ধানে কৃষকের মুখে চওড়া হাসি

0
নতুন ধানে কৃষকের মুখে চওড়া হাসি

নতুন ধানে ভালো ফলনে কৃষকের মুখে চওড়া হাসি দেখা গেছে।  ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয়, কুমিল্লার আয়োজনে নবীনগর উপজেলার লাউরফতেহপুর গ্রামের বাড়িখলা গ্রামে পার্টনার প্রকল্পের আওতায় নতুন ধানের জাত ব্রি ধান ১০৩ প্রদর্শনী দেয়া হয়। 

বুধবার ওই মাঠে নমুনা শস্য কর্তন এবং মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। শতাধিক কৃষকদের উপস্থিতিতে এই মাঠ দিবসের আয়োজন করা হয়।  নতুন এ জাতটি চলতি আমন মওসুমে নবীনগর উপজেলায় বিভিন্ন ব্লকে এক একর করে মোট ৪০ একর জমিতে প্রদর্শনী স্থাপন করা হয়। যার প্রতিটি জমির ধান ভালো হয়েছে। 

লাউর ফতেহপুরের কৃষকের জমিতে প্রায় এক একর জমিতে ব্রি ধান ১০৩ চাষ করেন। উক্ত জমির ধান কাটার পর ২০ বর্গমিটারে শুকনা (১৪ % আর্দ্রতায়) ১২ কেজি ধান পাওয়া গিয়েছে।  অর্থাৎ হেক্টর প্রতি ফলন ৬.১ টন/হেক্টর অর্থাৎ বিঘা প্রতি ২০.৫ মন।  উক্ত ফলনে প্রদর্শনী কৃষকসহ উপস্থিত সকল কৃষক খুশি। পরবর্তী মওসুমে ব্রি ধান১০৩ চাষে খুব আগ্রহ প্রকাশ করেন। 

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম লিটনের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন, ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় কুমিল্লার প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ড. শিলা প্রামানিক।  

মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপপরিচালক ড. মোস্তফা এমরান হোসেন, বিশেষ অতিথি ছিলেন নবীনগর প্রেস ক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন শান্তি, কী নোট স্পিকার ছিলেন ব্রি কুমিল্লার উর্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মামুনুর রশীদ। 

প্রধান অতিথি ড. মোস্তফা এমরান হোসেন জানান, আমন মৌসুমে এখন পর্যন্ত সেরা জাত ব্রিধান ১০৩। উৎপাদন যেমন বেশি, চালের কোয়ালিটি অনেক ভালো। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জুড়ে এই জাতের আবাদি জমি বাড়ছে।

মাঠ দিবসে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার শাহআলম মজুমদার, উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার পরিমল চন্দ্র দত্ত, উপসহকারী কৃষি অফিসার, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য, শতাধিক কৃষক ও উক্ত বøকের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তারা। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায় চলতি মৌসুমে বিভিন্ন কর্মসূচির আওতায় ৬৫ হেক্টর জমিতে ব্রিধান আবাদ হয়েছে। আগামী মৌসুমে ৫০০ হেক্টর আবাদের লক্ষ্যমাত্রার জন্য কৃষক পর্যায়ে বীজ রাখা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here