নতুন করে বাঁচার পথ দেখিয়েছে বসুন্ধরা গ্রুপ

0

কুষ্টিয়া ডিগ্রি কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফাল্গুনী। বয়স অল্প হলেও দায়িত্ব অনেক বেশি। পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে ১৪ বছর বয়সেই তাঁকে বিয়ে দেওয়া হয়। স্বামী পেশায় দিনমজুর।

বিয়ের পর ফাল্গুনীর স্বামী তাঁর পড়াশোনার দায়িত্ব নেন। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁদের ঘর আলো করে আসে এক কন্যাসন্তান। পরিবারের সবাই বেশ আনন্দিত। কিন্তু ফাল্গুনীর মাথায় চিন্তা বাসা বেঁধেছে।

এ বিষয়ে ফাল্গুনী বলেন, ‘এখন আর আমার মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি চিন্তিত নই। বসুন্ধরা গ্রুপ আমাকে ভরসা জুগিয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপের জন্য দোয়া রইল।’
পরিবারের পাঁচ সন্তানের মধ্যে সবার ছোট মোছা. লাকী খাতুন। বাবা কৃষিকাজ করে সংসার চালান।

লাকীর স্বপ্ন পড়ালেখা করে ভবিষ্যতে শিক্ষক হবেন। কিন্তু পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। পাশের গ্রামের রাজমিস্ত্রির সহযোগী হিসেবে কাজ করা সামাদের সঙ্গে পরিবার থেকে লাকীকে বিয়ে দেওয়া হয়। এই সংসারেও সচ্ছলতা নেই। তাই সংসারে সচ্ছলতা আনতে বসুন্ধরা শুভসংঘের বিনা মূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হন। সেলাইয়ের কাজ শিখে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে পেয়ে যান সেলাই মেশিন। লাকী বলেন, ‘এই সেলাই মেশিন আমার স্বপ্ন পূরণের সারথি। বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা। তাদের সবার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করি।’ কুষ্টিয়া সরকারি মহিলা কলেজে অনার্স প্রথম বর্ষে  পড়াশোনা করছেন নিহা। ছোট থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত তিনি। পরিবারে আছে মা-বাবা ও ছোট ভাই। বাবা স্বল্প বেতনে একটি চাকরি করেন। নিজের পড়ালেখার খরচ জোগাতে নিহা সন্ধ্যার পর টিউশনি করতেন। টিউশনি করে ফেরার পথে একদিন তিনি জানতে পারেন বসুন্ধরা শুভসংঘের বিনা মূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণের কথা। নিহা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তাঁর পরিবারের পাশে দাঁড়াবেন বলে। বসুন্ধরা শুভসংঘের সেলাই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ভর্তি হয়ে  সেলাইয়ের কাজ শেখেন তিনি। কাজ শেখার পর বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে একটি সেলাই মেশিন পান নিহা। এ সময় তিনি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘এই সেলাই মেশিন আমার জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার। আমার পড়ালেখা করতে আর তেমন সমস্যা হবে না। বসুন্ধরা গ্রুপ নতুন করে বাঁচার পথ দেখিয়েছে।’ 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here