এরই মধ্যে একতেদার, জোলফাকার এবং গ্রেট প্রফেট নামের বড় বড় কয়টি মহড়া চালিয়েছে ইরান। ওমান সাগর এবং উত্তর ভারত মহাসাগর জুড়ে এসব মহড়া চালানো হয়।
পরীক্ষিত অস্ত্রগুলো থেকে বোঝা যায় যে ইরান ইসরাইল এবং পশ্চিমাদের প্রতি তার অবাধ্যতা বজায় রাখতে চায়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বোচ্চ চাপ নীতির অধীনে তার সাথে আলোচনা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে তেহরান। পারমাণবিক কর্মসূচিও অব্যাহত রাখতে চায় খামেনির দেশ।
আইআরজিসি তিনটি প্রধান ভূগর্ভস্থ সামরিক ঘাঁটি উন্মোচন করেছে। ইরানের কমান্ডাররা বলেছেন, তারা দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন একে ক্ষেপণাস্ত্র মেগাসিটি বলেছে। এই শহরে শত শত ব্যালিস্টিক প্রজেক্টাইল দেখা যাচ্ছিলো।
আইআরজিসি আরও জানিয়েছে যে তাদের কাছে ২০০০ কিলোমিটার পাল্লার একটি নতুন অ্যান্টিশিপ সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। যা তারা শীঘ্রই প্রকাশ্যে।
ইরান তার যুদ্ধ বহরে কিছু দেশীয় মডেল যেমন সায়েকহ এবং আজারখশ বিমান ব্যবহার করছে। সেইসাথে ইরানের ১৯৭৯ সালের বিপ্লবের আগেকার অনেক পুরনো মার্কিন ও রাশিয়ান মডেলের বিমানও তাদের হাতে রয়েছে। তারা মহড়ার অংশ হিসেবে শত্রুপক্ষের ড্রোনকে আটকাতে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি রাশিয়ার তৈরি তৈরি ইয়াক-১৩০ ব্যবহার করেছে।
এছাড়াও রাশিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান সু-৩৫ কেনার চেষ্টা করছে ইরান। অচিরেই হয়তো এগুলো তাদের বহরে যুক্ত হবে।
সূত্র: আল জাজিরা