পাকিস্তানে ফৌজদারি মামলায় শাস্তি পেলে রাজনীতিকরা আর ভোটে দাঁড়াতে পারতেন না। সেই নিয়ম বাতিল করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের ফলে নওয়াজ শরিফের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে আর কোনো বাধা থাকল না।
সোমবার আইনটি বাতিল করেছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।
পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি তার রায়ে বলেছেন, আগের আইনের কারণে একজন নাগরিকের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছিল।
নওয়াজ শরিফের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দল। ইমরানের বিরুদ্ধেও নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু এই রায়ের প্রভাব ইমরানের মামলার ওপর পড়ার সম্ভাবনা নেই কারণ, সুপ্রিম কোর্ট এই রায় কেবলমাত্র নির্বাচনে সারা জীবনের নিষেধাজ্ঞা পাওয়াদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
এদিকে, জাতীয় জবাবদিহি ব্যুরোর (এনএবি) নির্বাহী বোর্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা বন্ধ করার অনুমোদন দিয়েছে।
ইমরানের দল পিটিআই শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে আমেরিকা এবং সেনাবাহিনীর অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে কাকারের তত্ত্বাবধায়ক সরকার, তাই তারা মনে করেন সুপ্রিম কোর্টের রায়টিও তারই অংশ।
পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন) নেত্রী মরিয়ম আরঙ্গজেব সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, ‘পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক দলের নেতা নওয়াজ শরিফের ওপর থেকে সারা জীবনের জন্য নিষেধাজ্ঞা এবার উঠল। অবিচারের শিকার হয়েছিলেন নওয়াজ শরিফ।
ইমরানের আইনজীবী ইন্তাজার হুসেন পানজুঠা বলেছেন, ‘সোমবারের এই রায় আইন ও সংবিধানের মৃত্যুঘণ্টা বাজিয়ে দিয়েছে।’
সূত্র : রয়টার্স।