নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসায় ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পরীক্ষা কেন্দ্রে তাদের আটক করা হয়। ঘটনার পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনিয়মের সাথে যুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানানো হয়েছে।
১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় নওগাঁর সাপাহার উপজেলায় সরফতুল্লাহ ফাজিল মাদরাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা চলছে। যেখানে ৪০টি প্রতিষ্ঠানে ৭৫৭ জন শিক্ষার্থী দাখিল (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ৪০টি প্রতিষ্ঠানের ৭৫৭ জন পরীক্ষার্থী ২০টি কক্ষে পরীক্ষা দিচ্ছে। যেখানে আরবী দ্বিতীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কেন্দ্রের কক্ষ পরিদর্শক বেলা ১১টার দিকে খাতায় স্বাক্ষরের সময় বিষয়টি বুঝতে পেরে কেন্দ্রের সচিবকে অবগত করে। পরীক্ষার্থীর সাথে প্রবেশপত্রে থাকা ছবির সাথে কোন মিল ছিল না। এদের প্রত্যেকের প্রবেশপত্রসহ অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। তাদের ভুয়া পরীক্ষার্থী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। পরে তাদের পরীক্ষা স্থগিত করে একটি কক্ষে আটক রাখা হয়। একে একে বাড়তে থাকে ভুয়া পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৫৯ জন ভুয়া পরীক্ষার্থী আটক করা হয়। এর মধ্যে ছেলে ১৫ এবং মেয়ে ৪৪ জন। ঘটনার পর ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়। নতুন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা কম হওয়ায় এ অনিয়মের সাথে জড়িত বলে মনে করছেন সচেতনরা। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানানো হয়েছে। কলেজের এক শিক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশ নিয়ে আটক হয়েছে। তার অভিভাবক বিষয়টি জানতো না। পরে কেন্দ্র থেকে ফোন পেয়ে ছেলেকে ছাড়াতে এসেছেন এ অভিভাবক। অবশেষ বিকেল ৩টা দিকের মুচলেকা নিয়ে সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়।
সাপাহার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ হোসেন বলেন, আটককৃত ভুয়া পরীক্ষার্থীদের মুচলেকা নিয়ে তাদের অভিভাবকদের কাছ ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।