নওগাঁর ধামইরহাটে বিয়েবাড়ির খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় জয়দেব, রেহেনা বেগম, বাবু, জাহিদুল ইসলাম ও মোজাফফর রহমানসহ আরও ১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
রবিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম জামাল হোসেন (৩৮)। তিনি ওই গ্রামের দলিল উদ্দিনের ছেলে। নিহত জামাল কনের বাবার বাড়িতেই বিয়ে উপলক্ষে ছিলেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, রাতে আমিরুল ইসলামের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে প্রায় ৩০০ অতিথির জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়। খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পর আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে অতিরিক্ত পেটব্যথা, বমি ও ডায়রিয়ার উপসর্গ দেখা দেয়। অনেককেই দল বেঁধে টয়লেটে ছুটতে দেখা যায়। একপর্যায়ে অসুস্থতার মাত্রা বেড়ে গেলে সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে তাদের পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তি থাকা জামাল হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়। তবে রাজশাহী পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন মোস্তাক বলেন, মৃত্যুর কারণ আমরা অনুমান করছি, তবে নিশ্চিত নই খাবার কোথা থেকে এসেছে। কেউ কেউ বলছেন খাবার বিয়েবাড়িরই ছিল, আবার অনেকে জানান হোটেল থেকেও খাবার আনা হয়েছিল। এখানেও সমস্যা হতে পারে।
পত্নীতলা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, পোলাও খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে ১৮ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে ১৭ জন এখনও চিকিৎসাধীন। একজনকে রাজশাহী নেওয়ার পথে মারা গেছেন বলে জেনেছি। প্রাথমিকভাবে এটি খাদ্যে বিষক্রিয়ার ঘটনা মনে হয়েছে।
ধামইরহাট থানার ওসি ইমাম জাফর বলেন, ঘটনার বিষয়ে ভুক্তভোগী কেউ থানায় জানায়নি। তবে আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি এবং ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।

