নওগাঁয় নেটিং পদ্ধতিতে বেগুন চাষ

0

নওগাঁয় নেটিং পদ্ধতিতে বেগুন চাষ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। নুতন এ পদ্ধতি জেলায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। এর ফলে পাখির আক্রমনের পাশাপাশি বেগুনের ক্ষেতে কিটনাশক প্রয়োগ করতে হয় কম। একটু খরচ বেশি হলেও লাভ বেশি হওয়ায় কৃষকরা নেটিং পদ্ধতিতে বেগুন চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আর কৃষি বিভাগ কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। 

নওগাঁর বদলগাছীর বালুভরা গ্রামের কৃষক সুলতান আহম্মেদ। বাড়ির পাশে এক বিঘা জমিতে নেটিং পদ্ধতিতে বেগুন চাষ করেছেন। নতুন এ পদ্ধতিতে জমির চারপাশ ও উপরে নেট দিয়ে ঘিরে দিয়েছেন। নেটের ভেতরে রয়েছে সারি সারি বেগুন গাছ। ঝুলে থাকা বেগুনের পাশাপাশি বেগুনের ফুলও ধরেছে অনেক। আগে বেগুন ক্ষেতে প্রতিদিন কিটনাশক প্রয়োগ করতে হলেও এখন অনেকটা কম প্রয়োগ করতে হয়। আগে যেখানে পাখিরা বেগুন নষ্ট করতো এখন নতুন এ পদ্ধতি ব্যবহার করায় ফসল নষ্ট হয় না। 

বেগুন চাষি সুলতান আহম্মেদ বলেন, বেগুনের গাছে নেটিং করার মূল কারন বুলবুলি পাখি। এ পাখি বেগুনের ঘোর শক্র। বুলবুলি পাখি বেগুন ধরা মাত্র নষ্ট করে ফেলে। বড় হতে দেয় না। অনেক লোকসান গুনতে হতো। এখন নেটিং করায় যেমন পাখির আক্রমন থেকে ফসলকে রক্ষা হচ্ছে তেমনি ফলন বেশ। এছাড়া কিটনাশকের ব্যবহারও কম। এক কথায় সবদিকে ভালো। স্থানীয়রা জানায়, বেগুন গাছে পাখির আক্রমন সবচেয়ে বেশি। পাখি বেগুন খেয়ে ফেলে। এতে করে আমাদের লোকনান গুনতে হয়। এ পদ্ধতি ব্যবহার করলে খরচ বেড়ে গেলেও লাভ বেশি হয়। আগে যেখানে এক বিঘা জমি থেকে ২ মন বেগুন উঠানোর পর ১ মন ভালো পাওয়া যেত এখন সেখানে ২ মন বেগুনের মধ্যে ২ মন ভালো পাওয়া যায়। এক কথায় কোন রকম নষ্ট হয় না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিপ্তরের উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, বেগুনের শক্র বুলবুলি পাখি। এ পাখির হাত থেকে রক্ষা পেতে কৃষকরা আধুনিক নেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে বেশ লাভবান হচ্ছেন। আর আমরাও কৃষকদের আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি সহযোগিতা করছি। চলতি বছর জেলায় ৯ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বেগুনের চাষ করা হয়েছে। আর এ আধুনিক পদ্ধতি ব্যবহার করায় ফলন ভালো পাওয়া যাবে এমনটা প্রত্যাশা সকলের।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here