ঢাকার ধামরাই উপজেলায় বিএনপির এক নেতাকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের লোকজনের বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কাশেম (৫৭) গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা এলাকার প্রয়াত রইজ উদ্দিন মাস্টারের ছেলে। তিনি গাংগুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ছিলেন।
আবুল কাশেমের ছোট ভাই খলিলুর রহমান বলেন, দুপুর ১২টার দিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরপর একদল লোক তাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। খবর পেয়ে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তিনি আরো বলেন, কারা তাকে কুপিয়েছে বা কতজন ছিল, তা জানি না। ভাই একা ছিলেন। তাকে একা পেয়ে কুপিয়েছে হামলাকারীরা।
দুপুর ১টার দিকে মৃত অবস্থায় আবুল কাশেমকে হাসপাতালে আনা হয় বলে জানান এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ।
আবুল কাশেমের স্ত্রী সাহিদা আক্তার বলেন, তার স্বামী রাজনীতির পাশাপাশি মাটির ব্যবসা করতেন। প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে হত্যা করেছে ,স্বামীকে কুপিয়ে রাস্তায় ফেলে রাখার খবর পেয়ে দৌড়ে গিয়ে তাকে তোলার চেষ্টা করি। এ সময় তিনি হামলার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনের নাম বলেন।
রাজনৈতিক বিরোধ থেকে আবুল কাশেমকে হত্যা করা হয়েছেন বলে ধারণা গাংগুটিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোজাম্মেল হক মোজার। ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, মাটি ব্যবসা ও রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের জেরে আবুল কাশেমকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।