ধান পাকছে, হাতির ‌‘অত্যাচার’ বাড়ছে শেরপুরে

0

শেরপুর জেলার সীমান্ত অঞ্চল মেঘালয় ঘেষা শ্রীবরদি, ঝিনাইগাতি ও নালিতাবাড়ী বনে মানুষ-হাতির দ্বন্দ্ব থামছেই না। এখন আমন ধান পাকছে আর হাতির অত্যাচার বেড়েই চলছে। পাকা ধান খাওয়াকে কেন্দ্র করে হাতি জন বসতিতেও ঢুকে পড়ছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী মধুটিলা ইকোপার্কের প্রধান ফটকের সামনে কয়েকটি দোকান ভেঙে দোকানে থাকা আম, তেতুল, চালতা ও বড়ইয়ের আচার খেয়ে সাবার করেছে ২০ থেকে ২৫টি বন্যহাতির একটি পাল। ক্ষতি সাধন করে ইকোপার্কের মহুয়া রেষ্ট হাউজের। পরে স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় হাতির দল আর তেমন ক্ষতি করতে পারেনি। 

সরকারের বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগ বলছে বৃহদাকার এই প্রাণিটি দৈনিক ১৫০ কেজি খাবার খায়। কিন্তু মানুষের কারণে ওরা খাদ্য সংকটে পড়েছে। কমেছে হাতির বিচরণ ক্ষেত্র। খাদ্য সংকট ও স্বাভাবিক চলাফেরায় বিপত্তি ঘটায় মানুষের সাথে দ্বন্দ্বে জড়াচ্ছে হাতি। সরকারের এই বিভাগের দাবি পাহাড়ে বনাঞ্চল উজার, হাতির বসতি ধ্বংস, হাতির খাবার সংকট, স্বাভাবিক চলাচলে বাধা, মানুষের নিষ্ঠুরতা, হাতির বসতিতে মানব বসতি গড়ে উঠা, এই বনাঞ্চলের সড়ক নির্মাণ ইত্যাদি কারণে এই দ্বন্দ বাড়ছে।

বন কর্মকর্তা মকরুল ইসলাম বলেন,পাকা ধান হাতির পছন্দের খাবার। এসময়ে হাতির দল ধান খেতে আসে।মানুষ ও হাতির এই দ্বন্দ্ব অবসানে এই অঞ্চলে ২২ হাজার একরের অভয়াশ্রমের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই বন কর্মকর্তার দাবি শেরপুরের যে পরিমান বনাঞ্চল তাতে এত সংখ্যক হাতির মুক্ত বিচরণ সম্ভব না। এজন্য পার্শ্ববর্তী ভারতের মেঘালয় ও বাংলাদেশ সরকারের উচ্চ পর্যায়ের মধ্যে কথা বলে দুই দেশের হাতির বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে হবে। সর্বোপুরি প্রকৃতি নষ্ট না করে মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here