পাবনায় ধর্ষণ মামলায় ডা. কামরুজ্জাামান নয়ন নামের এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এক তরুণীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় তাকে মঙ্গলবার সকালে গ্রেফতার করা হয়।
ডা. নয়ন পাবনা জেনারেল হাসপাতালের নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ (জুনিয়র কনসালটেন্ট)। পাবনা সদর উপজেলার ক্যালিকো কটন মিল সংলগ্ন রাজাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল করিমের ছেলে। তিনি ৩৩তম বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যডারে মেডিকেল অফিসার হিসেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যোগদান করেন এবং ২০২০ সাল থেকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন।
তরুণী সরল বিশ্বাসে তার বাসায় যান এবং স্ত্রীর কথা জিজ্ঞাসা করলে ডা. জানান, তার স্ত্রী বাসায় নেই। এ সময় তরুণী বাসা থেকে বের হয়ে আসতে চাইলে ডা. নয়ন বাসার প্রধান দরজা বন্ধ করে দেন এবং তাকে জোর করে বেডরুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন। একই সাথে সেই ধর্ষণের দৃশ্য তার মোবাইলে গোপনে ধারণ করেন। এরপর থেকে বিভিন্ন সময় ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বাসায় নিয়ে একাধিকাবার ধর্ষণ করেন।
এরপর থেকে আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি ডিলিট করতে তাকে অনুরোধ করলেও, তিনি তা না করে ভয়ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে বারবার ধর্ষণ করেন।
সর্বশেষ গত ১১ নভেম্বর সন্ধ্যায় ডা. নয়ন তার বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন তরুণীকে। এ অবস্থায় উপায় না পেয়ে মামলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওই তরুণী।
পাবনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রওশন আলীর বলেন, তরুণীটি মঙ্গলবার নিজে বাদী হয়ে পাবনা থানায় মামলা করেছেন এবং তার অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দুপুরে তরুণীর মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। তবে রিপোর্ট পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে পুরোপুরি তদন্ত শেষে পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে। ডা. নয়নকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল হাসান বলেন, কয়েক দিন আগে ডা. নয়ন তার কাছ থেকে ব্যক্তিগত কাজের কথা বলে ছুটি নিয়েছেন। পরে শুনেছি মঙ্গলবার তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।