ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে চলন্ত বাস থেকে নিক্ষেপ, সেই নারী আইসিইউতে

0

ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়া পঁয়ত্রিশোর্ধ্ব সেই নারী এখনো শঙ্কামুক্ত নন। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও চেতনা ফেরেনি পরোপুরি। এমনকি অস্ত্রোপচার করার মত অবস্থাতেও নেই ওই নারী। 

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ’র রেজিস্টার ডা. খায়রুল কবির শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় এসব বিষয় নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ভুক্তভোগী নারীর শুধুমাত্র অক্সিজেন লেভেল ঠিক আছে। তাই লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়নি। তার জ্ঞানের মাত্রা আছে ৮। যেখানে স্বাভাবিক মানুষের মাত্রা থাকে ১৫।

জানা যায়, শুক্রবার রাতে পোশাক কারখানায় কাজ শেষে হাইওয়ে মিনিবাসে বাসায় ফিরছিলেন ওই নারী। পথে ভালুকা সিডস্টোর এলাকায় অন্য যাত্রীরা নেমে যান। এসময় ওই নারী একা থাকায় চলন্ত বাসেই ধর্ষণের চেষ্টা চালান চালক ও দুই সহকারী। প্রতিরোধের চেষ্টা করেন নারী। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে তারা প্রথমে তাকে মারধর করেন, তারপর চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেন।

চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেওয়ায় ওই নারী মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তাকে স্থানীয়রা প্রথমে ভালুকা সিডস্টোরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ভোরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।

পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা জানান, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার সিডস্টোর বাজারে অন্যসব যাত্রীকে নামিয়ে দেওয়ার পর এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই হাইওয়ে পুলিশ বাসটি আটক করেছে। ওই রাতেই পুলিশ চালকের দুই সহকারীকে ভালুকা ও চালককে ত্রিশাল থেকে গ্রেফতার করেছে।

তারা হলেন চালক রাকিব (২১), সহকারী আরিফ (২০) ও সুপারভাইজার আনন্দ দাস (১৯)। ভালুকা মডেল থানার ওসি কামাল হোসেন জানান, গতকাল বিকালে ভালুকা থানায় ভুক্তভোগীর ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here