যুক্তরাজ্যের নগর বিষয়ক মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন খুব শিগগিরই আসছে বলে জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মুখপাত্র ডেভ প্যারেস।
মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শিগগিরই এই তদন্তের আপডেট জানা যাবে। টিউলিপের অভিযোগ তদন্ত করছেন মিনিস্ট্রিয়াল ওয়াচডগের উপদেষ্টা লরি ম্যাগনাস। তিনি নিজেই তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য জানাবেন।
ডেভ প্যারেস আরও বলেন, ম্যাগনাস এ বিষয়টি নিয়ে খুব দ্রুত কাজ করেছেন। আপনারা অল্প সময়ের মধ্যে আপডেট পাবেন।
বিস্তারিত কোনও কিছু না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, যখন আমরা এ ব্যাপারে আপডেট পাব। তখন আমরা জানাতে পারব তিনি কোন বিষয়টি তদন্ত করেছেন।
লন্ডনে হাসিনা ঘনিষ্ঠদের কাছ থেকে উপহার নেওয়া ছাড়াও; সাবেক এক বাংলাদেশি এমপির কাছ থেকে ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দুটি ফ্রি টিকিট নিয়েছিলেন টিউলিপ। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অন্যান্য আরও আর্থিক অসঙ্গতির অভিযোগ উঠেছে।
এর মধ্যে দেশটির বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টি টিউলিপকে বরখাস্তের দাবি জানিয়েছে। তারা বলেছে, টিউলিপের ওপর ব্রিটেনের দুর্নীতি প্রতিরোধের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারই নাম দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়েছে। এতে তিনি মন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালনের নৈতিকতা হারিয়েছেন।
এছাড়া বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস টিউলিপকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো সত্য হলে তার ক্ষমা চাওয়া উচিত। যদিও টিউলিপ ফ্ল্যাট নিয়ে তথ্য লুকানোর বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন শেখ হাসিনা। ওই দিন প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে পালিয়ে যান তিনি।
এরপর থেকেই শেখ রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে টিউলিপকে বরখাস্ত করার বিষয়ে চাপ সৃষ্টি হয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের ওপর।
টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তরাজ্যের ট্রেজারির অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি অর্থনৈতিক অপরাধ, অর্থ পাচার এবং অবৈধ অর্থায়ন মোকাবিলার দায়িত্বে আছেন। সূত্র: ব্লুমবার্গ