দ্বিতীয়বারের মতো এক ওভারে পেরেরার ৬ ছক্কা

0

আবারও ছয় বলে ছয় ছক্কা মেরে নতুন রেকর্ড গড়লেন শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার থিসারা পেরেরা। এশিয়ান লিজেন্ডস লিগের এলিমিনেটর ম্যাচে আফগানিস্তান পাঠানস দলের স্পিনার আয়ান খানের করা ইনিংসের শেষ ওভারে ছয়টি ছক্কা হাঁকান পেরেরা। শুধু ওভারের প্রতিটি বলে ছক্কাই নয়, সেঞ্চুরিও করেছেন তিনি।

শ্রীলঙ্কা লায়ন্সের হয়ে খেলেছেন অপরাজিত ৩৬ বলে ১০৮ রানের ইনিংস। উদয়পুর মিরাজ ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শনিবার (১৫ মার্চ) ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। 

এর আগে ২০২১ সালে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে শ্রীলঙ্কা আর্মি স্পোর্টস ক্লাবের হয়ে ছয় বলে ছয়টি ছক্কা মেরেছিলেন তিনি। প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে দুবার ছয় বলে ছয় ছক্কা মারার রেকর্ড গড়লেন এই অলরাউন্ডার।

শনিবার এশিয়ান লিজেন্ডস লিগের এলিমিনেটর রাউন্ডের ম্যাচটিতে আফগানিস্তান পাঠানসকে ২৬ রানে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা লায়ন্স। এই ম্যাচে আগে ব্যাট করা লায়নরা পেরেরার ঝড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৩০ রান সংগ্রহ করে। জবাবে পাঠানরা ৪ উইকেটে ২০৪ রান করে।

পেরেরা ছয় ছক্কা মারেন একদম ইনিংসের শেষ ওভারে। স্পিনার আয়ান খানের ওভারের প্রতিটি বৈধ ডেলিভারিই বাউন্ডারির ওপারে পাঠান পেরেরা। ওই ওভারে ৩টি ওয়াইড বলও করেছেন আয়ান। তাতে ওভারে রান এসেছে ৩৯! প্রতিযোগিতামূলক টি-টোয়েন্টিতে এটিই এক ওভারে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।

এদিন ম্যাচের শুরুতেই লিও ফ্রান্সিসকো এবং তিলকারত্নে দিলশানের উইকেট হারায় লায়ন্স। দশম ওভারে লাসিথ লক্ষণ রানআউট হলে ব্যাট করতে নামেন পেরেরা। এসেই ঝড় তুলে ২৩ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন।

১৮তম ও ১৯তম ওভারে ২টি করে ছক্কা হাঁকিয়ে শেষ ওভারের আগে ৩০ বলে ৭২ রানে পৌঁছান তিনি। এতক্ষণ যা দেখাচ্ছিলেন তা আদতে ছিল ঝড়ের পূরবের দমকা হাওয়া। আসল ঝড়টা গেছে শেষ ওভারে আয়ান খানের ওপর দিয়ে। ওভারের প্রথম বলটা ওয়াইড দেন এই স্পিনার। পরের তিন বলেই ছক্কা হাঁকান পেরেরা। পরের বলটা ফের ওয়াইড হয়, কিন্তু তার পরেরটায় ফের ছক্কা হাঁকান এই লঙ্কান। এবার আরও একটা ওয়াইডের পর টানা দুই ছক্কায় ওভার শেষ হয়। ওভার শেষে পেরেরা ৩৬ বলে ১০৮ রানে অপরাজিত থাকেন। পুরো ইনিংসে পেরেরা ১৩টি ছক্কা এবং ২টি চার হাঁকিয়েছেন।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে পেরেরা এবং ফার্নান্দো মাত্র ৬২ বলে ১৫৫ রান যোগ করেন। ফার্নান্দো নিজেও ৫৬ বলে ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন। জবাব দিতে নেমে অধিনায়ক আসগর আফগান এবং মিডল অর্ডারে আয়ান খান চেষ্টা করেছিলেন। ৮ চার ও ১ ছয়ে ৫২ রাম করে আয়ান ১৫তম ওভারে আউট হন। আসগর ২৪ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন। ১৭তম ওভারে পেরেরাকে ৩টি ছক্কা মেরে শেষের দিকে কিছুটা উত্তেজনা জাগান তিনি। কিন্তু ভাইকুম সঞ্জয় তাকে আউট করে আফগানদের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন। আসগর ৩১ বলে ৮ ছয়ে ৭০ রান করেন। লিজেন্ডস লিগের এই ম্যাচগুলো অবশ্য স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি না হওয়ায় রেকর্ডবুকে জায়গা পাচ্ছে না। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here