শ্রীলঙ্কার দুর্নীতিগ্রস্ত ভাবমূর্তি পরিবর্তনের অঙ্গীকার করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট অনুঢ়া কুমার দিশানায়েকে।
মঙ্গলবার ব্রিটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতার বার্ষিকী উদযাপনকালে দ্বীপ রাষ্ট্রটির প্রেসিডেন্ট এই অঙ্গীকার করেন।
স্বঘোষিত মাকর্সবাদী অনুঢ়া কুমার দিশানায়েকে ১৯৪৮ সালে ক্ষমতা হস্তান্তর উপলক্ষে জেট ফ্লাইওভার এবং ঘোড়ার কুচকাওয়াজের মতো সাধারণ বিস্তৃত সামরিক অনুষ্ঠান পরিত্যাগ করেন।
তিনি বলেন, তার সরকার সরকারি কর্মকাণ্ডে অযৌক্তিক ব্যয় কমানোর প্রতিশ্রুতি মেনে ছোট পরিসরে সামরিক কুচকাওয়াজের আয়োজন করে।
জাতির উদ্দেশ্যে এক বার্তায় তিনি বলেন, দুর্নীতিগ্রস্ত শাসন ব্যবস্থার জন্য পরিচিত দেশ থেকে শ্রীলঙ্কার বৈশ্বিক ভাবমূর্তির পরিবর্তন আনতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, অগণিত বাধা এবং অতীতের দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থার গভীরে প্রেথিত ত্রুটি সত্বেও নাগরিকদের সম্মিলিত ইচ্ছাশক্তি দ্বারা নির্মিত জনগণের সরকার ক্রমাগত এগিয়ে চলছে।
দিশানায়েকের সরকার গত বছরের শেষের দিকে দ্বিপাক্ষিক এবং বেসরকারি ঋণদাতাদের সাথে দীর্ঘ বিলম্বিত ঋণ পরিশোধ সম্পন্ন করে। যার ফলে শ্রীলঙ্কার দেউলিয়া রাষ্ট্রের মর্যদা শেষ হয়।
খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আমদানির জন্য বৈদেশিক মুদ্রা ফুরিয়ে যাওয়ার পর, শ্রীলঙ্কা ২০২২ সালের এপ্রিলে ৪৬ বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে খেলাপি হয়।
অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক মন্দার কারণে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোটাবায়ে রাজাপাকসে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। তার উত্তরসূরী রনিল বিক্রমাসিংহে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের বেইলআউট ঋণ নিশ্চিত করেন।
গত সেপ্টেম্বরে নির্বাচনে বিক্রমাসিংহেকে পরাজিত করে দিশানায়েকে তার পূর্বসূরির প্রশাসনের অধীনে প্রবর্তিত কঠোর ব্যবস্থা বজায় রেখেছেন এবং চার বছরের আইএমএফ বেলআউট কর্মসূচি অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
দিশানায়েকে বলেছেন, নতুন সরকার হিসেবে, গত চার মাসে আমরা একটি স্থিতিশীল অর্থনীতির ভিত্তি স্থাপন করেছি এবং একটি নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু করেছি। সূত্র: ডন, এএফপি