সুন্দরবনের দুবলারচরে পুণ্য স্নানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তিনদিনব্যাপী রাস উৎসব। বুধবার ভোরে বঙ্গোপসাগরের তীরে এই পুণ্য স্নান অনুষ্ঠিত হয়।
ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই জোয়ারের টানে বাড়তে থাকে সাগরের পানি। তখন হাজারো নারী-পুরুষ নৌযান থেকে নেমে দলে দলে ছুটে যান সাগর তীরে। সারিবদ্ধভাবে বসে তাঁরা উপাসনা ও ভজন-কীর্তনে অংশ নেন। এরপর পুণ্যস্নান শেষে নিজ নিজ গন্তব্যে রওনা দেন।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় রাস পূজা। ওই পূজা ও স্নানে অংশ নিতে হাজার হাজার পুণ্যার্থী জড়ো হন দুবলারচরে।
প্রতিবছর রাসপূজাকে ঘিরে দুবলারচরের আলোরকোলে বসে ঐতিহ্যবাহী রাস মেলা। এ বছর আনুষ্ঠানিক অনুমতি না থাকলেও পুণ্যার্থীদের পদচারণায় মুখর ছিল মন্দির প্রাঙ্গণ। দোকানিরা নানা পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেন, আর ঢাক-ঢোল, শঙ্খ আর শাকের ধ্বনিতে মুখর হয়ে ওঠে গোটা এলাকা।
প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী এই উৎসব রাসপূর্ণিমার তিথিতে পালিত হয়। অসংখ্য পুণ্যার্থী সমুদ্রস্নান করে সূর্যোদয় দেখেন এবং সমুদ্রের জলে ফল ভাসিয়ে ভক্তি নিবেদন করেন। কেউ বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে ভজন-কীর্তন পরিবেশন করেন।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, শারদীয় দুর্গোৎসবের পর পূর্ণিমার রাতে বৃন্দাবনে গোপীদের সঙ্গে রাসনৃত্যে মেতেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। সেই স্মৃতিতেই দুবলারচরে প্রতি বছর পালিত হয় রাস উৎসব।

