দুবলারচরের শুঁটকি মৌসুম শেষ: ৯৯% জেলে লোকসানে বাড়ি ফিরছে

0

সুন্দরবনের বঙ্গোপসাগর পাড়ে শেষ হয়েছে দুবলারচরের শুঁটকি মৌসুম। দীর্ঘ পাঁচ মাস সাগরে হাজার হাজার জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নতুন করে বনদস্যুদের তাণ্ডবে শুঁটকির জন্য কাঙ্খিত মাছ আহরণ করতে না পেয়ে লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে মৌসুম শেষে বাড়ি ফিরছেন।

প্রতিবছর ১ নভেম্বর থেকে সুন্দরবনের দুবলারচর শুঁটকি মৌসুম শুরু হয়ে ৩১ মার্চ শেষ হয়, তবে এবছর জেলেদের আবেদনে শুঁটকি মৌসুম ৮ দিন বাড়িয়ে ৮ এপ্রিল করা হয়।

এ মৌসুমে শুঁটকির জন্য কাঙ্খিত মাছ আহরণ করতে না পারায় সরকারি রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা পূর্ণ হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সুন্দরবন বিভাগ।

শুঁটকি মৌসুমের প্রথম সাতটি গোনে প্রাকৃতিক দুর্যোগে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় জেলেরা মাছ ধরতে পারেনি। মৌসুম মাঝামাঝি এসে বনদস্যুরা নতুন মুক্তিপনের দাবিতে জেলেদের অপহরণ শুরু করে, যার কারণে অনেক জেলে সাগরে মাছ ধরতে যেতে সাহস করেনি।

এ বছরের মৌসুম শেষে বেশিরভাগ জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা লোকসান নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। দুবলার আলোরকোল, মাঝেরকেল্লা, শেলারচর ও নারিকেলবাড়ীয়ার জেলেরা জানান, মৌসুম শেষে হাতে গোনা দু’একজন জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ী মোটামুটি ভালো মাছ পেয়েছেন, তবে বেশিরভাগই লোকসানের মুখে বাড়ি ফিরেছেন।

বনদস্যুদের তাণ্ডব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সাগরে মাছ ধরতে না পেরে রাজস্ব আয় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি।

দুবলার ফিসারমেন গ্রুপের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. কামাল উদ্দিন আহমেদ জানান, “এ বছর দুবলার শুঁটকি পল্লীর ৯৯% জেলে মহাজন দেনার দায় মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।”

সুন্দরবন ফরেস্ট রেঞ্জার মো. খলিলুর রহমান জানান, “বিগত বছরগুলোর তুলনায় এ বছর শুঁটকির রাজস্ব আয় প্রায় ৬ কোটি ২০ লাখ ৯৫২ টাকা কম হয়েছে।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here