হলুদ শুধু রান্নার স্বাদ বাড়ায় না, বরং প্রাচীন চিকিৎসায় এটি ছিল অন্যতম ভেষজ উপাদান। দুধের সঙ্গে হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে খেলে শরীর পায় নানা উপকার। নিয়মিত ‘হলুদ দুধ’ বা ‘গোল্ডেন মিল্ক’ পান করলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ফলে হজম শক্তি উন্নত হয় এবং ঘুমেও আসে স্বস্তি।
ইমিউনিটি বাড়ায়
হলুদে থাকা কারকিউমিন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানে সমৃদ্ধ। দুধের সঙ্গে মিশে এটি শরীরে রোগ প্রতিরোধে কাজ করে, সর্দি-কাশি বা মৌসুমি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ব্যথা ও প্রদাহ কমায়
হলুদের প্রদাহনাশক গুণ শরীরের জয়েন্ট পেইন, মাংসপেশির ব্যথা ও আর্থ্রাইটিসের উপসর্গ উপশমে সহায়তা করে। তাই রাতে এক গ্লাস গরম দুধে সামান্য হলুদ মিশিয়ে খেলে আরাম পাওয়া যায়।
হজমশক্তি বাড়ায়
হলুদ দুধ হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে। পেট ফাঁপা, গ্যাস বা বদহজম দূর করতে এটি কার্যকর। দুধের ক্যালসিয়াম ও হলুদের উপকারী এনজাইম পেটকে শান্ত রাখে।
ভালো ঘুমে সাহায্য করে
গরম দুধ নিজেই ঘুম আনার ক্ষেত্রে উপকারী। এর সঙ্গে হলুদ যোগ হলে স্নায়ু শান্ত হয় এবং ঘুমের মানও উন্নত হয়।
ত্বক উজ্জ্বল করে
হলুদের অ্যান্টিসেপটিক গুণ ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত হলুদ দুধ পান করলে ভেতর থেকে ত্বকে আনে উজ্জ্বলতা এবং দূর করে টক্সিন।
ডিটক্সে সহায়তা
হলুদ দুধ শরীর থেকে ক্ষতিকর উপাদান বের করতে সাহায্য করে। লিভারকে সক্রিয় রাখে এবং শরীরকে প্রাকৃতিকভাবে সুস্থ রাখে।
কীভাবে খাবেন
এক গ্লাস গরম দুধে আধা চা-চামচ হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে রাতের খাবারের পরে খেলে সবচেয়ে উপকারী। চাইলে সামান্য মধুও যোগ করা যায় স্বাদ বাড়াতে।
তবে যাদের দুধে অ্যালার্জি বা বিশেষ স্বাস্থ্য সমস্যা রয়েছে, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পান করা উচিত।

