ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ নির্বাচনে হেভিওয়েট দুই প্রার্থীকে হারিয়ে মো. বিল্লাল মিয়া (ঘোড়া প্রতিক) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে ভোট গণনা শেষে এই ফলাফল ঘোষণা করে জেলা নির্বাচন অফিস।
ফলাফল অনুযায়ী মো. বিল্লাল মিয়া (ঘোড়া প্রতীক) পেয়েছেন ৭৪৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সাবেক দুই বারের পৌর মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন। তিনি পেয়েছেন ৪৯০ ভোট। এছাড়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি মো. শফিকুল আলম এমএসসি পেয়েছেন ১৩৩ ভোট।
এদিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে মনোনয়ন দেয়া না হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ থেকে জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি মো. হেলাল উদ্দিনকে ‘সমর্থন’ দেয়া হয়। তবে বিজয়ী মো. বিল্লাল মিয়ার রাজনৈতিক কোনো পদ-পদবী নেই। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। হেভিওয়েট প্রার্থীদের হারিয়ে তিনি চমক দেখালেন।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে ইভিএম পদ্ধতিতে জেলা ৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোট শুরু হয়। দু’ একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমূখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এতে জেলার নয়টি উপজেলা, পাঁচটি পৌরসভা ও ১০০টি ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১৩৮৪ জন জনপ্রতিনিধি। এরমধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৩৬৬ জন।
নাসিরনগর উপজেলায় ১৬৫ জন, সরাইল উপজেলায় ১১৯ জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ১০৪ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১৬১ জন, বিজয়নগর উপজেলায় ১২৯ জন, কসবা উপজেলায় ১৪৫ জন, আখাউড়া উপজেলায় ৮০ জন, নবীনগর উপজেলায় ২৮০ ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১৮৩ জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদের নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার চেয়ারম্যান পদে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু তিনি দায়িত্বভার গ্রহণের পর এক বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই ২০২৩ সালের ২ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করন। এতে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়।
জেলা প্রশাসন জানায় নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে জেলার ৯টি ভোটকেন্দ্রে ৩৭১ জন পুলিশ ও আনসারের পাশাপাশি ১ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৯ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রে দায়িত্ব পালন করেছেন।