বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির লালকেল্লা মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন এলাকা। সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫৫ মিনিটে মেট্রো স্টেশনের এক নম্বর গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। ওই বিস্ফোরণের তীব্রতায় পাশে থাকা আরও অন্তত ৮টি গাড়িতে আগুন লেগে যায়। আগুন লাগে পাশের কয়েকটি দোকানেও।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের তীব্রতায় রাস্তার বাতিগুলো আচমকা নিভে যায়। পার্শ্ববর্তী বাড়ি এবং বহুতল ভবনের জানলার কাঁচে ফাটল ধরে। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, এই ঘটনায় অনেকে হতাহত হয়েছেন। এই ঘটনার সবশেষ পাওয়া খবরে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছেন বলে দিল্লি পুলিশ সূত্র নিশ্চিত করেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ২৪ জন। এনডিটিভিসহ একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিন সন্ধ্যায় ব্যস্ততম লালকেল্লা মেট্রো স্টেশন এর ১ নম্বর গেটের সামনে ওই বিস্ফোরণের ঘটনার পরে তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। প্রাণ বাঁচাতে চারিদিকে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে মানুষ।
ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে উপস্থিত হয় দিল্লি পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা। পাশাপাশি ফায়ার সার্ভিস, ফরেনসিক এবং টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। গোটা ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে দিল্লি পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী সিআইএসএফের ডিআইজি কিশোর প্রসাদ।
একে একে প্রায় ১৫টি ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি। বেশ কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গোটা ঘটনায় দিল্লি জুড়ে জারি করা হয়েছে হাই এলার্ট। বিস্ফোরণের ব্যাপারে যাবতীয় খোঁজখবর নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিস্ফোরণে আহত এক সিএনজি চালক জানান, আমার সিএনজি দুই ফুট দূরত্বেই একটা গাড়ি (মারুতি) রাখা ছিল। আমি জানিনা তার মধ্যে কোন বিস্ফোরক পদার্থ রাখা ছিল কিনা কিন্তু হঠাৎ করেই তাতে বিস্ফোরণ হয়।
স্থানীয় এক দোকানদার জানায়, এর আগে কখনো এমন উচ্চস্বরে শব্দ শুনিনি। বিকট শব্দ শুনে প্রথমে মনে হয়েছিল যে আমরা হয়তো আর বেঁচে থাকব না। আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিস্ফোরণের বিকট শব্দের পরই আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই দেখি চারিদিকে রাস্তার উপরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে লাশ পড়ে রয়েছে।

