পাটের বাজার দর ভালো এবং পাটখড়ির চাহিদাও বৃদ্ধি পাওয়ায় এবছর পাট চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে দিনাজপুরে। তবে পাটের ফলন বেশি পেতে ছিটিয়ে পাটবীজ বপন পরিবর্তন করে এবার লাইন করে পাট রোপণ করেছে কৃষকরা। কৃষি অফিসও এই পদ্ধতিতে রোপণে পাট চাষের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছে।
এক সময় দেশে পাটের ব্যাপক চাষ হতো। কালক্রমে পাটের ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় অনেক কৃষক পাট চাষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন। ঝুঁকে পড়েন অন্যান্য ফসল চাষে। বর্তমানে সোনালী আঁশ পাটের সোনালী দিন ফিরে এসেছে। তাই কৃষকদের মধ্যে পাট চাষে আগ্রহ বেড়েছে। সাধারণত ছিটিয়ে পাটবীজ বপন করা হয়। তবে এবার লাইন করে পাট রোপণ করছে পাটের ফলন বেশি পাওয়ার আশায়।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি বছর চিরিরবন্দর উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নে ৫৪৩ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দেশি জাতের ২০ হেক্টর এবং তোষা জাতের ৫২৫ হেক্টর জমিতে অর্জিত হয়েছে। ছিটানো পদ্ধতির চেয়ে এর গুণগত মান ভালো হওয়ায় এবছর উপজেলা কৃষি অফিস প্রথম বারের মতো রোপণ পদ্ধতিতে পাট চাষের জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করেছে। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ১ বিঘা করে জমি রোপণ পদ্ধতিতে পাট চাষের আওতায় আনা হয়েছে।
চিরিরবন্দরের আলোকডিহি ইউপির গছাহার গ্রামের কৃষক আশুতোষ দাস জানান, আমরা কখনো রোপণ পদ্ধতিতে পাট চাষ করি নাই। এবারই প্রথম রোপণ পদ্ধতিতে পাট চাষ করেছি। আশা করছি আশানুরুপ ফলন পাবো।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রোহিনী কান্ত রায় বলেন, রোপণ পদ্ধতিতে বিজেআরআই-৮ জাতের পাট চাষ হচ্ছে। জমি প্রস্তুত করে এক মাস বয়সের পাটের চারা ১০ ইঞ্চি লাইন থেকে লাইন এবং ৪ ইঞ্চি চারা থেকে চারা রোপণ করা হচ্ছে।
চিরিরবন্দর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জোহরা সুলতানা জানান, ইরি-বোরো ধান কেটে ওই জমিতেই পানি সেচ দিয়ে চাষ করে পাট রোপণ করা যায়। সনাতন পদ্ধতিতে বা ছিটানো পদ্ধতিতে পাট চাষের চেয়ে রোপণ পদ্ধতিতে পাট চাষ করলে আঁশ, আঁশের গুণগত মান এবং উৎপাদন বৃদ্ধি পায়।