অল্প খরচ, চাষ উপযোগী মাটি ও লাভজনক হওয়ায় দিনাজপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ড্রাগন চাষ বেড়েই চলেছে। এককালীন বিনিয়োগ করে দুই যুগ ধরে আয়ের উৎস গড়া যায় এই ড্রাগনের বাগান থেকে। এ ছাড়াও এ ড্রাগন ফলের বাগানে অন্য যে কোন চাষও করা যায়। লাভজনক হওয়ায় জেলার বিভিন্ন এলাকায় এ চাষ বেড়েই চলেছে।
তাই বেশি লাভের আশায় এবার ধানের জমিতে ‘লাল ড্রাগন’ ফলের চাষে ঝুঁকছেন অনেকে। বাণিজ্যিকভাবে জমিতে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ড্রাগন চাষ করে লাভের আশা করা হচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ড্রাগন ফল পাওয়া এবং বিক্রি করা যাবে বলে জানায় সাব্বির হোসেন।
এদিকে কৃষি বিভাগ জানায়, চারা রোপণের এক বছরের মাথায় ফলন পাওয়া যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগে তেমন কোন ক্ষতির আশংকা নেই। পরিচর্যা ছাড়া কোনো খরচও করতে হয় না। প্রায় সব ধরনের মাটিতেই ড্রাগন ফল চাষ করা যায়। ড্রাগনের ফলের পিঁপড়া ছাড়া তেমন কোন সমস্যা নেই। আবার পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ড্রাগনের ঠিকমতো পরিচর্যা করলে ১২ থেকে ১৮ মাস বয়সের একটি গাছে ৫ থেকে ২০টি ফল পাওয়া যায়। কিন্তু পূর্ণবয়স্ক একটি গাছে ২৫ থেকে ১০০টি ফল পাওয়া যায়। জমি ভালোভাবে চাষ দিয়ে সমান করে ৩ মিটার পরপর সারি করে চারা লাগালে ভাল। রোপণের মাস-খানেক আগে গর্ত তৈরি করে সারমাটি দিয়ে ভরে রেখে দিতে হয়। বছরের যেকোনো সময় চারা লাগানো যেতে পারে। প্রতি গর্তে দুটি চারা লাগাতে হবে। চারা লাগানোর পর খুঁটি বা পিলার পুঁতে দিয়ে ড্রাগন ফল গাছ বেঁধে দিতে হবে। ড্রাগন ফল প্রচুর আলো পছন্দ করে। পানি জমে না এমন উঁচু জমিতে এ ফলের চাষ করা ভালো। শুষ্ক মৌসুমে অবশ্যই সেচ ও বর্ষা মৌসুমে নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে।