সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দিনাজপুর সদরসহ ৬টি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। দিনাজপুরের সদর ছাড়াও বীরগঞ্জ, পার্বতীপুর, বোচাগঞ্জ, খানসামা, চিরিরবন্দর উপজেলায় বিচ্ছিন্নভাবে কিছু পরিবার ঈদ উদযাপন করছেন। দীর্ঘ দুই দশক ধরে তারা এভাবে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদের নামাজে আদায় করছেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় দিনাজপুর শহরের চারুবাবুর মোড়ের একটি কমিউনিটি সেন্টারে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন দুই শতাধিক মুসল্লি। এ সময় নামাজের ইমামতি করেন বিরল উপজেলা কিন্ডার গার্টেনের শিক্ষক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিরামপুর উপজেলার জোতবানি ইউনিয়নের খয়েরবাড়ী-মির্জাপুর গ্রামের মেহেদী হাসান সুমনের বাড়ির সামনে এবং একই সময় আয়ড়া মাদ্রাসা মাঠে ঈদের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দুই জামাতে ১০ গ্রামের দেড় শতাধিক মুসল্লি নামাজ আদায় করেন। খয়েরবাড়ী জামে মসজিদে মো. দেলোয়ার হোসেন কাজী এবং আয়ড়া মাদ্রাসা মাঠের আল-আমিন জামাতের ইমামতি করেন।
ঈমাম দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে এভাবে নামাজ আদায়ের পরিকল্পনা থাকলেও ২০১৩ সাল থেকে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে নামাজ আদায় করছি।
বিরামপুর থানার ওসি সুমন কুমার মহন্ত বলেন, বিরামপুর উপজেলার জোতবানি ও বিনাইল ইউনিয়নে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়াও চিরিরবন্দর উপজেলার রাবার ড্যাম এলাকা, কাহারোল উপজেলার জয়নন্দ গ্রাম, ১৩ মাইল, বোচাগঞ্জ উপজেলার তেতরা গ্রাম, বিরল উপজেলার ভাড়াডাঙ্গী গ্রামের কয়েক’শ মানুষ ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।
চিরিরবন্দর থানা ওসি বজলুর রশিদ বলেন, চিরিরবন্দর উপজেলা রাবার ড্যাম এলাকায় সৌদির সঙ্গে মিলে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ জন মুসল্লি স্থানীয় একটি মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। প্রশাসনের পক্ষ হতে সব ধরনের সহযোগিতা করা হয়েছে, যাতে তারা নির্বিঘ্নে নামাজ আদায় করতে পারেন।