ঢাকাই সিনেমার দুই প্রিয়মুখ শাবনূর ও পূর্ণিমা। তাদের দু’জনকে নিয়ে চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিতে বিভিন্ন ধরনের মুখরোচক গল্প হাওয়ায় ভাসতো, এখনও ভাসে। এসব গল্পে মধ্যে রয়েছে- এ দুই নায়িকার মধ্যে নাকি দা-কুমড়ার সম্পর্ক, দু’জন-দু’জনকে সহ্য করতে পারেন না। আদৌ কি তাই? এবার বিষয়টি পরিষ্কার করলেন ঢাকাই সিনেমার তুমুল জনপ্রিয় এই দুই চিত্রনায়িকা।
বর্তমানে স্বামী-সন্তান নিয়ে অস্ট্রেলিয়া ভ্রমণে রয়েছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা। সেখান থেকেই শুক্রবার বিকালে ভক্তদের সারপ্রাইজ দিলেন পূর্ণিমা। আর সেই সারপ্রাইজের নাম- শাবনূর। দীর্ঘদিন ধরেই সিডনিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন শাবনূর। তাই দেশ থেকে যখন কোনো শিল্পী অস্ট্রেলিয়ায় যান, শাবনূরের সঙ্গে তাদের দেখা হয়েই যায়। বাদ গেলেন না পূর্ণিমাও।
এরপর পূর্ণিমা বললেন, আসলে আমাদের মধ্যে ফুলে-ফুলে সম্পর্ক। তিনি আমার খুব পছন্দের অভিনেত্রী। আমরা তাকে (শাবনূর) দেখেই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। তিনি আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা, তিনি আমাদের অভিনয়ের ইনস্টিটিউট। আমরা এখনো অভিনয় করতে গেলে সবার আগে শাবনূর আপুর কথা মনে আসে। তিনি কীভাবে, কোন এক্সপ্রেশন দিতেন, সেটা মনে করে কাজ করি। যদিও আমরা বা আমি তার ধারে কাছে যেতে পারিনি। তিনি আসলেই অসাধারণ একজন মানুষ।
এসব শুনে শাবনূর নিজেও পূর্ণিমার প্রশংসা করে বলেন, পূর্ণিমার এতো গুণ! আমার মনে হয়, আমি ওর মতো পারবো না। এতো সুন্দর করে কীভাবে কথা বলে, স্টেজে পারফর্মেন্স করে। ওর আসলে গুণের শেষ নেই। দেখতেও সুন্দর। ওর তুলনা ও নিজেই।
পূর্ণিমার সঙ্গে সিনেমা করার আশ্বাসও দেন শাবনূর। তবে সেটা ঢাকায় নয় বরং অস্ট্রেলিয়ায় হবে। শাবনূর বলেন, আমরা দু’জন আবার সিনেমা করলে কেমন হবে? অস্ট্রেলিয়াতে করবো?। ইচ্ছে আছে করার। এখনই বলতে পারছি না, কতদূর করতে পারবো। কিন্তু চেষ্টা করতে অসুবিধা নাই।
শাবনূরের কথায় সায় দিয়ে পূর্ণিমা নিজের একটি অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। অতীতের স্মৃতি রোমন্থন করে বলেন, একটা সত্যি ঘটনা বলি, শাবনূর আপু তখন সুপার-ডুপার হিট। তার যন্ত্রণায় আমরা কেউই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখতে পারছিলাম না! কোনো সিনেমায় ধারের কাছে যেতে পারছিলাম না। যখনই আমি শুটিং করতাম, তখন নির্মাতা-কোরিওগ্রাফাররা বলতেন, ‘কী এক্সপ্রেশন দাও! শাবনূরের মতো করো। শাবনূরের চোখ কথা বলে, ঠোঁট কথা বলে; তার পায়ের যোগ্যতা নেই। এসব শুনে আমি কাঁদতাম।