দারিদ্র্য ও বৈষম্য দূরীকরণ এখনো আমাদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ : গণশিক্ষা উপদেষ্টা

0

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, ‌‘বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ। আমাদের লক্ষ্য সুদূরপ্রসারি এবং দৃঢ়। দারিদ্র্য  ও বৈষম্য দূরীকরণ এখনও আমাদের একটি বড় চ্যালেঞ্জ। দারিদ্র্য দূরীকরণে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই।’

আজ শনিবার সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ১২তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী জুলাই-আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহিদদের প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের নতুন স্বাধীনতা। সামাজিক বৈষম্য, ক্ষুধা, দারিদ্র্য, নিরক্ষরতা, পশ্চাৎপদতা দূরীকরণ এবং সুখী-সমৃদ্ধ, স্বনির্ভর ও আত্মমর্যাদাশীল জাতি গড়ে তোলার মাধ্যমেই অর্জিত হতে পারে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। এই অর্জনের অঙ্গীকারই বাংলাদেশ আপনাদের (শিক্ষার্থীদের) কাছ থেকে আশা করে। জ্ঞান-বিজ্ঞান, শিক্ষা, গবেষণা, সাহিত্য, অর্থনীতি, রাজনীতিসহ সকল ক্ষেত্রেই আপনারা (শিক্ষার্থীরা) ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেবেন। সততা, কর্মনিষ্ঠা, দক্ষতা ও পরিশ্রম দিয়ে আপনারা (শিক্ষার্থীরা) গড়ে তুলবেন সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ।’

রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো.সাহাবুদ্দিনের মনোনীত প্রতিনিধি হিসেবে উপদেষ্টা তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব ও ক্ষমতাবলে এই সমাবর্তনে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

অনুষ্ঠানে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ড এর চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন। লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রফেসর ড. হাসান দিয়াব কনভোকেশন স্পিকার হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

এবারের সমাবর্তনে ৩ হাজার ৯৫১ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী ১২ জন গ্র্যাজুয়েটকে চ্যান্সেলর, চেয়ারম্যান ও উপাচার্যসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ‘স্বর্ণপদক’ প্রদান করেন। উপদেষ্টা সমাবর্তন পদযাত্রায়ও অংশ নেন।

সমাবর্তনে চ্যান্সেলর এওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন ফার্মেসি বিভাগের আবু ফারহান সিয়াম, ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিরিং বিভাগের জাবেদ হাসান, নিউট্রিশান এন্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের হুমায়রা আসিমা মিম, টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মাশুর সাদ করিম এবং সফটওয়্যার ইঞ্জনিয়ারিং বিভাগের আশিকুল হক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here