বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ঢাকায় গুলিতে নিহত মাদ্রাসা ছাত্র আশিকুল ইসলামের (১৪) মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের নরহরিপুর গ্রামের কবরস্থান থেকে তার মরদেহ তোলা হয়।
এর আগে, মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করা হয়েছিল। আদালতের নির্দেশে বুধবার সকালে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে আশিকুল ইসলামের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। পরে দুপুরে মরদেহ দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে নেওয়া হয়।
উত্তোলনের সময় নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল ওহাব, নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল ওয়াদুদ, নিহত আশিকুলের বাবা ফরিদুল ইসলাম ও মা আরিশা আফরোজা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, গুলিতে নিহত হওয়ার ঘটনায় আশিকুল ইসলামের মা আরিশা আফরোজা বাদী হয়ে গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার খিলগাঁও থানায় মামলা করেন। এতে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ আবদুল ওহাব।
এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ ইউএনও আনিসুর রহমান জানান, গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক আদেশনামা পেয়ে আশিকুল ইসলামের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। নিহত আশিকুল ইসলাম নবাবগঞ্জ উপজেলার নরহরিপুর গ্রামের ফরিদুল ইসলাম ও আরিশা আফরোজা দম্পতির ছেলে। সে ঢাকার রামপুরা বনশ্রী এলাকার মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণিতে পড়ালেখা করত। সে মায়ের সঙ্গে রামপুরা বনশ্রীর অ্যাভিনিউ সড়ক এলাকায় থাকত। গত বছরের ১৯ জুলাই বিকেলে বনশ্রীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহত হয় আশিকুল। কিন্তু ২০ জুলাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।