দপ্তরির বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ

0

ফেনীর দাগনভূঞায় পঞ্চম শ্রেণির একাধিক স্কুলছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে একই স্কুলের দপ্তরি কাম নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে। উপজেলার চন্ডিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

হুমায়ুন উপজেলার পশ্চিম চন্ডিপুর গ্রামের মৃত শরিয়ত উল্যার ছেলে। একই সাথে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেনের বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ স্থানীয়দের।
এ ঘটনায় অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে ওই ছাত্রীর পিতা মো. হান্নান বাদী হয়ে ৭ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এরপর একাধিক অভিভাবক মুখ খুলতে শুরু করেছেন।

ভুক্তভোগী একাধিক ছাত্রী জানান, দপ্তরি হুমায়ুন কবীর শিক্ষক না হয়েও ক্লাস রুমে গিয়ে ছাত্রীদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেন। এ ব্যাপারে মারধরের ভয় দেখিয়ে শিক্ষক-অভিভাবকদের না জানাতে শাসিয়ে দেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা আক্তার তানিয়া জানান, অভিযোগের তদন্ত করতে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। 

তদন্তের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সুজন কান্তি শর্মা জানান, ঘটনার তদন্তে সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী ছাত্রী, তাদের অভিভাবক ও অভিযুক্ত পিয়নের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষককে কর্মস্থলে না পাওয়ায় তাকে রবিবার সকালের মধ্যে হাজির হতে জানানো হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে আগেও যৌন নিপীড়নের অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে। গরু-ছাগলের খামারে ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যবহারের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত পিয়ন হুমায়ুন কবীর দাবী করেন, পরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। অতীতেও নানাভাবে তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হয়েছে।

ফেনী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ জানান, বিষয়টি জানার পর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে খোঁজখবর নিতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here