দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক–ইউলকে গ্রেপ্তারে নতুন করে পরোয়ানা জারি করেছেন দেশটির আদালত। ইউনের বিরুদ্ধে তদন্তকারীদের নতুন করে পরোয়ানা জারির আবেদনের পর মঙ্গলবার তা মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে প্রথমবার তাঁকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন তদন্তকারীরা।
এর আগে বিদায়ী বছরের ৩ ডিসেম্বর হঠাৎ করেই দেশে সামরিক শাসন জারি করেছিলেন প্রেসিডেন্ট ইউন। এর মধ্য দিয়ে দেশটিতে কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সংকট দেখা দেয়। পরে সামরিক শাসন জারির ঘোষণা প্রত্যাহার করে নেন ইউন। আর সামরিক শাসন জারির মতো পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার পার্লামেন্টে তাঁকে অভিশংসিত করা হয়।
তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে ইউনকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানার আবেদন করার পর আদালত তা মঞ্জুর করেন। এর আগে জারি করা পরোয়ানার মেয়াদ ছিল সাত দিন। তবে নতুন পরোয়ানার মেয়াদ সম্পর্কে কিছু জানায়নি দেশটির তদন্ত সংস্থা করাপশন ইনভেস্টিগেশন অফিস (সিআইও)।
এর আগে গত শুক্রবার ইউনকে গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিলেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারাী বাহিনীর সদস্যরা। তবে রাজধানী সিউলে তাঁর রাষ্ট্রীয় বাসভবনের বাইরে অবস্থানকারী শত শত সমর্থক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বাধায় গ্রেপ্তার করতে ব্যর্থ হন তাঁরা। ওই সমর্থকেরা এখনো তাঁর বাসভবন ঘিরে রেখেছেন।
ইউনকে যদি নতুন পরোয়ানায় গ্রেপ্তার করা যায়, তাহলে তিনি হবেন গ্রেপ্তার হওয়া প্রথম কোনো ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট। তাঁর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের অভিযোগে তদন্ত চলছে। এই অভিযোগ প্রমাণিত হলে কারাদণ্ড, এমনকি মৃত্যুদণ্ডের সাজাও হতে পারে তাঁর।
বিডি প্রতইদিন/আশিক