বিশ্ব রক্তদাতা দিবসে থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়ে রক্তদাতা-গ্রহীতা মিলনমেলায় বিয়ে আগে রক্ত পরীক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন বক্তারা। তারা এসময় বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগের কোনও চিকিৎসা নেই। একমাত্র থ্যালাসেমিয়ার দুই বাহকের মধ্যে বিয়ে রোধ করার মাধ্যমেই থ্যালাসেমিয়ামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।
বুধবার (১৪ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স মিলনায়তনে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন আয়োজিত থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়ে রক্তদাতা গ্রহিতা মিলনমেলা শেষে সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মাদাম নাহার আল বোখারির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমিরেটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ।
ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, এদেশের হাজার হাজার থ্যালাসেমিয়া রোগী আপনাদের রক্তে বেঁচে আছে। এর কোনও প্রতিদান হয় না। রক্তদাতাদের কাছে তাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। কারণ রক্ত নিয়েই তাদের বাঁচতে হয়। তাই থ্যালাসেমিয়ায় যাতে আক্রান্ত না হতে হয় সেজন্য বিয়ের আগেই রক্ত স্ক্রিনিং করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কার রক্ত কে নিল কেউ কাউকে চিনে না। এটা অনেক বড় অনেক মহৎ কাজ। কোয়ান্টামের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরে তিনি বলেন, করোনাকালে যখন কেউ মৃতদের কাছে আসতো না সেই সময়ে সবার আগে কোয়ান্টামের সদস্যরা এগিয়ে এসেছেন। তারা আট হাজারের বেশি করোনা শহীদদের দাফন করেছেন।
সেমিনারে সৈয়দ দিদার বখত বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগের কোনও চিকিৎসা নেই। একমাত্র চিকিৎসা বোনমেরু ট্রান্সপ্লান্ট, যেটা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।
তিনি আরও বলেন, থ্যালাসেমিয়ার বাহকে বাহকে বিয়ে যদি বন্ধ করতে পারি তাহলে থ্যালাসেমিয়ামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো। এরজন্য বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে।
অনুষ্ঠানে প্রায় দুই শতাধিক থ্যালাসেমিয়া রোগী এবং তাদের অভিবাবকরা উপস্থিত ছিলেন। কোয়ান্টাম স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম থেকে তারা প্রতি মাসে নিয়মিত রক্ত পেয়ে থাকেন। এছাড়া বিপুলসংখ্যক রক্তদাতা মিলনমেলায় অংশ নেন।