বিদেশে বসবাসরত ভিন্ন মতাবলম্বী ইরানি নাগরিকদের হত্যা করতে চায় ইরান- ব্রিটিশ সরকারের এমন অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে তেহরান। একই সঙ্গে ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’ উত্থাপন করায় তেহরানে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে তলব করে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম ইউরোপ বিষয়ক মহাপরিচালকের দফতরে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সাইমন শেরক্লিফকে ডেকে পাঠানো হয়। ইরানের সাত ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে লন্ডন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার একদিন পর তেহরান এ পদক্ষেপ নেয়।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ব্রিটিশ সরকারের ওই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ অভিহিত করে লন্ডনের পক্ষ থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাকে ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, লন্ডন বিশ্ববাসীর সামনে ইরানের ‘অগঠনমূলক’ ভাবমর্যাদা তুলে ধরতে চায়; তবে এ ধরনের ‘ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ’ ব্যর্থ হতে বাধ্য।
ইরানি কর্মকর্তা ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে বলেন, “ব্রিটেনের মতো একটি উপনিবেশবাদী দেশ যে কিনা মাদক চোরাচালান, অপরাধী গ্যাং এবং সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর পৃষ্ঠপোষক তার পক্ষ থেকে এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অগ্রগামী দেশ ইরানের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ মানায় না।”
এ সময় ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত বলেন, তিনি ইরানের এ অভিযোগের কথা লন্ডনকে জানিয়ে দেবেন।
এর আগে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতর সোমবার সাত ইরানি ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। ওই সাত ইরানি নাগরিকের মধ্যে একাধিক পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন। ওই দফতর দাবি করে, এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ব্রিটেনে বসবারত ইরানি সাংবাদিকদের হত্যা করার পরিকল্পনা করছিলেন। সূত্র: আল জাজিরা