‘তৈল মর্দন’ নেতিবাচক অর্থে ব্যবহার হলেও চুলে তেল মালিশ কিন্তু মোটেই খারাপ বিষয় নয়। বরং চুলে তেল দেওয়ার রয়েছে নানান সুফল। হবেই না কেন! চুলের হাজারো সমস্যা মোকাবিলায় অন্যতম অস্ত্র নানা রকম তেল। সৌন্দর্যচর্চা-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে চুলে তেল দেওয়ার উপকারী দিকগুলো এখানে দেওয়া হলো।
কন্ডিশনিং : শ্যাম্পু, কন্ডিশনার, সেরাম চুলের এসব প্রসাধনী যত দামি, উন্নতমানের আর ভেষজ গুণাবলি সমৃদ্ধ হোক না, তেলের কাছে ‘বধ’ হবে সব কিছুই। মাথার ত্বকের কোষগুলো পুনরুজ্জীবিত করতে তেলের সঙ্গে তুলনা চলে না কোনো কিছুরই। রাসায়নিক উপাদানযুক্ত চুলের প্রসাধনীর তুলনায় তেল ত্বকের আরও গভীরে গিয়ে চুলের গোড়ায় পুষ্টি জোগায়।
রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় : চুলে তেল মালিশের অন্যতম উপকারী দিক হলো মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি। তেল যেহেতু মাথার ত্বকের প্রতিটি অংশে ছড়িয়ে যায়, তাই সব চুলের গোড়ায়ও পুষ্টি উপাদান পৌঁছায় সমানভাবে।
চুল পড়া : চুলে তেল মালিশের আরেকটি অনন্য গুণ হলো- চুলের বেড়ে ওঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চুল পড়া রোধ করে। জলপাইয়ের তেল, নারিকেল তেল কিংবা বিভিন্ন ভেষজ উপাদান সমৃদ্ধ তেল ব্যবহার করে যাচাই করতে হবে কোনো তেল নিজের জন্য আদর্শ। আর সেই তেল নিয়মিত মালিশ করতে হবে।
উশকো-খুশকো চুল : এলোমেলো চুল সামলাতেও তেলের জুড়ি মেলা ভার। বিশেষ করে আবহাওয়া যখন উষ্ণ ও আর্দ্র হয়ে যায় তখন চুল সামলানো আরও কঠিন হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে তেল হতে পারে চুলের বন্ধু। রাতে ঘুমানোর আগে বা গোসলের এক ঘণ্টা আগে মাথায় তেল মালিশ করতে হবে।
♦ চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী নারকেল তেল। এতে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকার কারণে কন্ডিশনারের কাজও করে। একই সঙ্গে চুল থাকে নরম।
♦ ক্যাস্টর বিন থেকে তৈরি ক্যাস্টর অয়েলও চুলের জন্য দারুণ উপকারী। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, প্রোটিন আছে। আবার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় ক্যাস্টর অয়েল কাজ করে চুলের গোড়া মজবুত করতে।
♦ জোজোবা অয়েলও রুক্ষ চুল এবং খুশকি প্রতিরোধে কাজ করে। এই অয়েল ব্যবহারের সময় এক ফোঁটা ল্যাভেন্ডার বা ইউক্যালিপটাস এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন।
♦ খাঁটি সরষের তেলের সঙ্গে জবা ফুল, মেথি আর আমলকী ফুটিয়ে নিয়ে ঠান্ডা করে নিন। এই তেল চুলে নিয়মিত লাগালে চুল পড়া, কম বয়সে পেকে যাওয়া থেকে রেহাই পেতে পারেন।
তথ্যসূত্র : দ্য সফট গ্লো