তেলে চুল তাজা

0

চুলের পরিচর্যায় প্রাকৃতিক তেলের ব্যবহার বহু প্রাচীন। শীতে চুলের রুক্ষতা ছাপিয়ে উজ্জ্বলতা ও মসৃণে সত্যিই বিকল্পহীন

শহরে শীতের দাপট বেশি নয়, তাই বলে গ্রামাঞ্চলে শীত নেই সেটা ভাবাও ঠিক নয়। কেননা, বাংলায় মাত্র মাঘ মাসের আগমন ঘটেছে। কথায় আছে, মাঘের শীতের সুবিধা যেমন রয়েছে, তেমনি রয়েছে অসুবিধাও। এ সময় চুল ভালো রাখা খুবই মুশকিল। শীতের আবহাওয়ায় চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে স্টাইলিং নিয়ে পড়তে হয় বিপাকে। চুলের স্টাইলিং তো বটেই, এ সময় চুলের মসৃণতা ধরে রাখতে প্রয়োজন সঠিক তদারকি। প্রাকৃতিক গুণাবলিতে ভরপুর তেল এক্ষেত্রে বিকল্পহীন। তবে এর আগে জেনে রাখা প্রয়োজন শীতে চুলের প্রাত্যহিক যত্নের সাত সতেরো।

এ প্রসঙ্গে শোভন মেকওভার-এর কসমোলজিস্ট শোভন সাহা বলেন, ‘অন্য সময়ের তুলনায় শীতে চুলের জন্য প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। ঠান্ডার কারণে অনেকেই গরম পানির ওপর নির্ভর করে থাকেন। এক্ষেত্রে সাবধান, শীতকালে গরম পানিতে চুল ধোয়া মোটেও উচিত নয়। গরম পানি চুলের ময়েশ্চার শুষে নেয়। ফলে রুক্ষতা আরও বেড়ে যায়। শীতে হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন। কেননা, বেশি ক্ষারযুক্ত শ্যাম্পু চুলকে আরও রুক্ষ করে দেয়। অ্যান্টিফ্রিজ শ্যাম্পুও ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলে জট পড়বে না। সপ্তাহে যতবার শ্যাম্পু করবেন ততবারই কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না। হেয়ার ড্রায়ার এড়িয়ে চলুন। চুলের মসৃণতা ধরে রাখতে এ সময় সপ্তাহে দুই দিন তেল গরম করে মাথায় লাগাবেন। চুলের আর্দ্রতা বজায় থাকবে।’

জোজোবা অয়েল

জোজোবা গাছ থেকে এই তেলের নির্যাস। এই তেলে নেই কোনো প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। ফলে মাথার স্ক্যাল্প সহজেই এই তেল গ্রহণ করে। এই তেল গভীরভাবে চুল হাইড্রেট করে, ময়েশ্চার করে এবং চুলের গ্রন্থিকোষের ভিতর থেকে পুষ্টি জোগায়। খুশকি ও শুষ্কতা দূর করে চুলকে করে তোলে কোমল ও মসৃণ। ফলে চুল সিল্কি দেখায়। রাতে ঘুমানোর আগে এই তেল মাথার স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করে নিন। সকালে ধুয়ে ফেলুন।

ক্যাস্টর অয়েল

এই তেল ক্যাস্টর দানা থেকে তৈরি। চুলের বৃদ্ধিতে এই তেল দারুণ কার্যকর। এর ভিটামিন ই, মিনারেল ও প্রোটিনের মতো পুষ্টিগুণ চুল ঝরা নিয়ন্ত্রণ করে মাথার ত্বকের সংক্রমণ ও খুশকির বিরুদ্ধে কাজ করে। পাশাপাশি কন্ডিশনিং, ময়েশ্চার করে তুলতে ও চুলের আগা ফাটা রোধ করে। এই তেল সামান্য ঘন হওয়ার কারণে অন্যান্য তেল যেমন- অলিভ অয়েল বা নারকেল তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়।

অর্গান অয়েল

বাদাম জাতীয় ছোট ছোট ফল থেকে তৈরি অর্গান অয়েল। সামান্য কয়েক ফোঁটা তেলেই বাতলে দেবে এর তেলেসমাতি। এই তেলে চুলকে রোদের তাপ থেকে রক্ষা করে চুলে পুষ্টি জোগায়। ফলে চুলে শুষ্কতা ও ভঙ্গুরতা কমে আসে। চুলের গোড়া এড়িয়ে এই তেল ব্যবহার করুন। চুল কোমল ও মসৃণ হয়ে উঠবে।

ল্যাভেন্ডার অয়েল

ক্লান্তি দূর করার জন্য এই তেলের কদরই আলাদা। এই তেল মাথার ত্বকে ম্যাসাজ করে নিলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে। চুল ঝরা কমিয়ে চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। খুশকিও দূর করে। রাতে ঘুমানোর আগে এই তেল স্ক্যাল্পে লাগিয়ে সকালে ধুয়ে ফেলুন।

লেখা : সাদিয়া সারা

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here